বিক্রম ব্যানার্জী: তপসিয়ায়(Topsia) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুনে ঝলসে গিয়েছে অসংখ্য ঝুপড়ি। ঝুপড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় মাথা গোজার ঠাই হারিয়েছেন বহু মানুষ। সূত্রের খবর, ঘর ছাড়া সর্বসান্তদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার অসাবধানতার বসে কয়েকশো ঝুপড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি পড়ুয়াদের বইপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মহিলা থেকে শুরু করে শিশু সকলেই।
সূত্রের খবর, অগ্নি কান্ডের খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পৌঁছায় দমকলের 7-8টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় পথে বসেছেন অসংখ্য মানুষ। অন্যদিকে ঝুপড়িগুলিতে আগুন লাগার পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাদের একটা বড় অংশের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানোর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি ইঞ্জিন। সময় যখন প্রায় ঘন্টার কাটায় তখনই একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন আসতে শুরু করে। স্থানীয়দের বেশিরভাগই মনে করছেন, দমকল যদি আর কিছুটা সময় আগে আসতো তাহলে হয়তো ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যেত ঝুপড়ি গুলি।
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে গোটা এলাকায় কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে। ঝুপড়ির ঘরে আগুন লেগে যাওয়ায় বহু মানুষ টাকা পয়সা থেকে শুরু করে জামা কাপড় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে পথে বসেছেন। এদিকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বড়দিনের উৎসব। আর তার ঠিক প্রাক মুহূর্তে তপসিয়ায় ঝুপড়িবাসীদের সব হারানোর যন্ত্রণা ও হাহাকার এখন ধ্বংসস্তূপে লুকিয়ে। তবে হঠাৎ কীভাবে ঝুপড়িতে আগুন লাগলো তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্তৃপক্ষ।