বিক্রম ব্যানার্জী: বর্তমানে দেশের বাজারে বাজেট স্মার্টফোনের(Budget smartphones) চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের দুর্দান্ত সব স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও পকেটের কথা চিন্তা করে বাজেট ফোনগুলি বেছে নেন ক্রেতাদের একটা বড় অংশ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলি অল্প দামে অসাধারণ ফিচার সহ অত্যাধুনিক ডিজাইনের স্মার্টফোন বাজারে আনছে। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ক্রেতাদের। তবে দেখতে ভাল হলেই তো হবে না। সঙ্গে দরকার পারফরম্যান্স সহ আনুষাঙ্গিক একাধিক সুবিধা। কাজেই বাজেট স্মার্টফোন কেনার আগে বিশেষ 4টি বিষয়ে নজর রাখা উচিত। কী সেগুলি? রইল বিস্তারিত।
আরও পড়ুন: আইপিএলের মেগা নিলাম শুরুর আগেই নিজেকে নিলামে তুলে বিক্রি করলেন অশ্বিন!
স্মার্টফোনের ডিসপ্লে
বাজেট স্মার্টফোন হোক কিংবা হাই রেঞ্জের কোনও ফ্ল্যাগশিপ মডেল স্মার্টফোনের অন্যতম পরিচয় তার ডিসপ্লে। ফলত ফোন কেনার আগে তার ডিসপ্লে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ভালো ডিসপ্লের জন্য রিফ্রেশ রেট ও রেজোলিউশন কত তা জানা সবার আগে দরকার। একটি স্মার্টফোন ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট 90 Hz বা 120 Hz হলে তার ডিসপ্লে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি আরামদায়ক হবে। তবে 60Hz বা তার কাছাকাছি রিফ্রেশ রেটযুক্ত স্মার্টফোনগুলি কেনার পর তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ব্যবহারকারীদের।
প্রসেসর
প্রসেসর হল একটি স্মার্টফোনের মূল চালিকাশক্তি। কাজেই মানুষের শরীরে মস্তিষ্কের যা কাজ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ঠিক সেই কাজটি করে থাকে প্রসেসর। তাই বাজেট ফোন হোক কিংবা দামি কোনও স্মার্টফোন প্রসেসরের দিকে নজর রাখা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ও মিডিয়াটেক এই দুই প্রসেসর সংস্থা অন্যতম ভরসার নাম। প্রসেসের মূলত মাল্টি টাস্কিং থেকে শুরু করে একটি ফোনের কার্যকারিতা বাড়ায়। এক কথায় ডিভাইসের ভাল পারফরম্যান্স আশা করলে প্রসেসরের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
ব্যাটারি ও অপারেটিং সিস্টেম
একটি বাজেট স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক তার ব্যাটারির ক্ষমতা। সাধারণত ব্যাটারির ক্ষমতা মাপা হয় মিলিঅ্যাম্প আওয়ারে। সেক্ষেত্রে বেশি মিলিঅ্যাম্প আওয়ারের ব্যাটারি যুক্ত স্মার্টফোন সব সময়েই বেশি সময় ধরে সার্ভিস দেবে। যদিও স্মার্টফোনের চার্জ লংজিবিলিটি নির্ভর করে ফোনের ব্যবহারের ওপর। ব্যাটারির পাশাপাশি বাজেট স্মার্টফোন কেনার আগে তার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে বিশদে জানুন। কারণ অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অনেকক্ষেত্রে কাস্টমাইজ করে রাখে সংস্থাগুলি। ফলত সব সময়ে বাজেট স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েডের আপডেটেড বা সর্বশেষ সংস্করণটিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কারণ স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে তার পারফরম্যান্স।