Budget Allocation: দেশবাসী কি একটু স্বস্তি পাবে? বাজেটে BSNL পাচ্ছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

রাজীব ঘোষ: দেশজুড়ে মোবাইল রিচার্জ এর দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের মোবাইল ব্যবহার করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এখন এমন একটা পরিস্থিতি যে হাতের মোবাইল ফোন ছাড়া অথবা ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত চলা মুশকিল। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মই মোবাইলের মাধ্যমে করে ফেলা যায়। আর এই সুযোগটাই ধরে নিয়েছে Reliance Jio, Airtel, Vodafone Idea তারা এক ধাক্কায় মানুষের পকেট ফাঁকা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা BSNL সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে বসে রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তার আধুনিকীকরণ বা এখনো 4G নেটওয়ার্ক পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি BSNL। এবারের বাজেটে(Budget) সেই সমস্যার সমাধান করলো কেন্দ্র সরকার।

তবে এবার একটুখানি আশার আলো দেখা গেছে। সংসদে মঙ্গলবার সাধারণ বাজেট(Budget) পেশ হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন টেলিকম সেক্টরের জন্য মোট বরাদ্দ করেছেন ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারের মালিকানাধীন বি এস এন এল এর জন্য ৮২৯১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেট ভাষণে সীতারামন বিএসএনএল এবং এমটিএনএল উভয় সংস্থার জন্যই একসঙ্গে ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যে টাকা প্রযুক্তিগত আপগ্রেড এবং পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহার হবে।

২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে বাজেট(Budget) এস্টিমেট এই চাহিদার জন্য নেট বরাদ্দ ১২৮৯১৫.৪৩ কোটি টাকা এবং ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর এই ১৭ হাজার কোটি টাকা টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারীদের ক্ষতিপূরণ, ভারতনেট, গবেষণা আর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হবে।

আরও পড়ুনঃ গভীর সংকটে পশ্চিম মেদিনীপুর! নাবালিকাদের নিয়ে বাড়ছে সমস্যা

ইতিমধ্যেই আত্মনির্ভর ভারতের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তারপরেও বিএসএনএল এর মত রাষ্ট্রীয় সংস্থা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তবে এবারের বাজেটে(Budget) দেখা গেল বিএসএনএলকে আপগ্রেডেশন করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য টেলিকম সরঞ্জামের PCBA(Printed Circuit Board Assembly)-র BCD(Basic Customs Duty) ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যাতে টেলিকম সরঞ্জামের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি হয় এবং আমদানি করার ওপর ধীরে ধীরে রাশ টানা যায়।