AI: কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে বেতন কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন কোম্পানিগুলি কর্মীদের বেতন নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে, অনেক কোম্পানি বেতন নির্ধারণ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর এবং দ্রুততর করার জন্য AI-ভিত্তিক ভবিষ্যদ্বাণীকারী মডেল গ্রহণ করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং বেতন ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলি আরও সঠিক পূর্বাভাস এবং তথ্য-চালিত বিশ্লেষণ প্রদানের মাধ্যমে কৌশলগত কর্মী পরিকল্পনাকে আরও কার্যকর করে তুলছে।
AI কীভাবে বেতন নির্ধারণ করবে?
নতুন প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে, কোম্পানিগুলি ঐতিহ্যবাহী বেতন কাঠামো থেকে সরে এসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-ভিত্তিক বেতন পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা বিশ্বাস করা হচ্ছে যে AI বেতন নির্ধারণ প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং ব্যক্তিগত করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে AI-ভিত্তিক বেতন ব্যবস্থা কেবল কোম্পানিগুলিকে আরও দক্ষ করে তুলবে না বরং কর্মীদের আরও ভাল বেতন ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতাও প্রদান করবে। প্রতিভা ধরে রাখতে এবং নতুন প্রতিভা আকর্ষণ করতে কোম্পানিগুলিকে এই পরিবর্তনগুলি গ্রহণ করতে হবে। EY-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৮ সালের মধ্যে বেতন এবং বোনাস নির্ধারণে AI গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এআই বেতন বেঞ্চমার্কিং নিশ্চিত করে যে বেতন প্যাকেজগুলি প্রতিযোগিতামূলক থাকে, যোগ্য প্রার্থীদের আকর্ষণ করে, একই সাথে খরচের ভারসাম্যও বজায় রাখে। এইচআর উচ্চ বেতন প্রদান এড়িয়ে চলে, কিন্তু একই সাথে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলির আকর্ষণীয় অফারের কাছে প্রতিভাবান প্রার্থীদের হারাতে চায় না। অ্যালগরিদমগুলি বেতন কাঠামোকে এমনভাবে অপ্টিমাইজ করে যাতে নিয়োগ বাজেট কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়।
কোন খাত লাভবান হবে?
এ বছর বিভিন্ন খাতে বেতন বৃদ্ধির প্রত্যাশা কী, সে সম্পর্কে একটি রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালে ই-কমার্স খাতে গড় বেতন বৃদ্ধি ১০.৫% হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আর্থিক পরিষেবাগুলিতে এই বৃদ্ধি ১০.৩% পর্যন্ত হতে পারে। গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টারগুলিতে বেতন বৃদ্ধির হার ১০.২% অনুমান করা হয়েছে, যেখানে আইটি খাতে এই হার ৯.৬% পর্যন্ত এবং আইটি-সক্ষম পরিষেবাগুলিতে এটি ৯% পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও, চাকরি ছাড়ার হার অর্থাৎ চাকরি ত্যাগের হার সম্পর্কেও তথ্য রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ১৮.৩%, যা ২০২৪ সালে কমে ১৭.৫% এ নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পতন কোম্পানিগুলির জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ কারণ এটি দেখায় যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন প্রতিভা ধরে রাখতে সফল হচ্ছে।