প্রথমে রঞ্জিত বাজাজের একটি পোস্ট, আর সেই পোস্টকে ঘিরেই কিছুক্ষণের মধ্যে আলোড়ন শুরু ভারতীয় ফুটবলে। কী ছিল সেই পোস্টে? রঞ্জিত বাজাজ দাবি করেছিলেন আনোয়ার আলি(Anwar Ali )মোহনবাগান ছাড়ছেন। রঞ্জিতের যুক্তি ছিল নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোন ফুটবলারকে ১ বছরের বেশি লোনে রাখতে পারেনা কোন ক্লাব। সেই কারণেই মোহনবাগান(Mohunbagan) ছেড়ে আনোয়ার ফিরে যাচ্ছেন তার পুরোনো ক্লাব দিল্লি এফসিতে। সেখান থেকেই আইএসএলের ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা চালাবেন তিনি। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার জল্পনা শুরু হয় আনোয়ার আলি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছেন। শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলে সই করে ফেলেছেন। দলবদলের বাজারে আনোয়ার আলিকে তুলে নিয়ে বড় চমক দিল ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। তবে মোহনবাগান এখনই আশা ছাড়তে নারাজ।
মোহনবাগানের দাবি আনোয়ারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের দাবি আনোয়ার যেহেতু লোনে দিল্লি এফসি থেকে মোহনবাগানে এসেছিলেন তাই একবছরের বেশি সময় তিনি মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকতে বাধ্য নন। মোহনবাগান ইতিমধ্যে আনোয়ারের চুক্তিপত্র ফেডারেশনে পাঠিয়েছে। আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলে সই করলেও বিষয়টিতে আইনি জটিলতা থাকায় ক্লাবের পক্ষ থেকে এখনই সরকারিভাবে আনোয়ারের নাম ঘোষণা করা হবে না বলেই স্থির করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডার্বির আগে ‘গৃহযুদ্ধ’ ইস্টবেঙ্গলে, হাতাহাতি দুই ফুটবলারের
ইস্টবেঙ্গল আইনি দিকের কথা উল্লেখ করলেও মোহনবাগানের দাবি লোনে একবছর থাকার বিষয়টি কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। ফলে আনোয়ারকে নিয়ে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সঙ্গে তাদের নজর রয়েছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির রিপোর্টের দিকে।
সূত্রের খবর আনোয়ারকে ইনস্টবেঙ্গলের হাতে তুলে দিতে সবথেকে বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন রঞ্জিত বাজাজ। তবে রঞ্জিত নিজে এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এখন দেখার আনোয়ারকে নিয়ে জল কতদূর গড়ায়।