বিক্রম ব্যানার্জী: বক্সিং ডে টেস্ট চলাকালীন ভারতের ফিল্ডিংয়ে বদল হওয়ায় মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হেঁটে যাচ্ছিলেন কোহলি(Virat Kohli)। এমন সময়ে উল্টো দিক থেকে ব্যাট হাতে হেঁটে আসছিলেন তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কনস্টাস। দুই খেলোয়াড় কাছাকাছি আসতেই ধাক্কা লাগে দুজনের। শুরু হয় তুমুল বচসা। ভারতীয় মহা তারকার সাথে সদ্য অভিষিক্ত অজি ক্রিকেটারের বিবাদ থামাতে ছুঁটে যান আম্পায়ার ও অজি তারকা উসমান খাজা। আর এই ঘটনার পরই কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছে কোহলিকে। অনেকেই মনে করছেন, বেলাগাম আচরণের জন্য দল থেকে সাসপেন্ডও হতে পারেন তিনি।
ভারতের একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হওয়া সত্বেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ ও অস্ট্রেলিয়া শিবিরে সদ্য অভিষেক হওয়া কনস্টাসের সাথে অগ্রহণযোগ্য আচরনের কারণে এবার দলের সাসপেন্ডের মুখের পড়তে পারেন কিং কোহলি। নেপথ্য ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের 10তম ওভার শেষে। ভারতের প্রান্ত বদলের সিদ্ধান্তে সায় দিতে মাঠের অপরপ্রান্তে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিরাট। অন্যদিকে ওভার শেষ হওয়ায় 22 গজের বিপরীত প্রান্তে হেঁটেছিলেন সদ্য অভিষেক হওয়া তরুন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কনস্টাস। কাছাকাছি আসতেই ধাক্কা লাগে দুজনের। শুরু হয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা।
তরুণ অজি ক্রিকেটারের সাথে ভারতীয় মহতারকা বিরাটের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও ধাক্কাধাক্কির দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে সমাজ মাধ্যমে পা রাখতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ম্যাচ শেষে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, খানিকটা ইচ্ছাকৃতভাবে কনস্টাসকে ধাক্কা দিলেন কোহলি। ভারতীয় তারকার বেলাগাম আচরণ দেখে এগিয়ে গেলেন 19 বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়ও। যেই ঘটনা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় অব্যাহত রেখেছে। অধিকাংশ মহলের দাবি, স্বইচ্ছায় এবং অযৌক্তিকভাবে তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে ধাক্কা দিয়েছেন কোহলি। যা একবার প্রমাণিত হয়ে গেলে দল থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ড হতে পারেন খেলোয়াড়। তবে সেই দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে ম্যাচ আম্পায়ার ও রেফারির ওপর বর্তায়। তাঁদের সিদ্ধান্তের পরই কোহলির সাজা শোনাতে পারে আইসিসি।
প্রসঙ্গত, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, 2.12 ধারা মেনে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে খেলোয়ারদের অগ্রহণযোগ্য আচরণ, স্টাফ বা আম্পায়ার কিংবা রেফারি ও দর্শকদের অনুপযুক্ত ও অযৌক্তিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেক্ষেত্রে অপরাধী ইচ্ছাকৃত কিনা তা খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রেফারি ও আম্পায়াররা। আর সেই পথ ধরেই মেলবোর্নের মাঠে ঘটা অগ্রহণযোগ্য আচরণের পর বর্তমানে কোহলির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট-এর ওপর। সূত্র বলছে, ম্যাচ রেফারি যদি মনে করেন কোহলি লেভেল 2 পর্যায়ের অপরাধ করেছেন। সেক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার নামের সাথে 3 থেকে 4 ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হতে পারে। কাজেই রেফারির সিদ্ধান্তে যদি 4 ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় কোহলির ঝুলিতে, সেক্ষেত্রে আগামী ম্যাচে দেখা মিলবে না ভারতীয় মহা তারকার। তবে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রেফারি যদি মনে করেন কোহলি লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধ করেছেন। তবে শুধুমাত্র জরিমানা নিয়েই কোহলিকে রেহাই দেওয়া হতে পারে।