এক গৃহবধূকে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা প্রতারণা করে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য (TMC LEADER)। এর পাশাপাশি ওই মহিলাকে মোবাইল ফোনে শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে ওই গৃহবধূ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে জগৎবল্লভপুর থানায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দল থেকেও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগৎবল্লভপুরের পাতিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কাজি সাবির আহমেদ এক মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৩০,০০০ টাকা প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন মাস ছয়েক আগে তাঁকে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর জন্য তিনি কয়েক দফায় মোট ৩০০০০ টাকা তাঁকে দেন। তাতেও কোন কাজ হয়নি। এরপর কাজি সাবির আহমেদ তাঁকে ফোনে দিঘার হোটেলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে ওই মহিলা রাজি হননি। এরপরই মহিলা পরিবারের সব লোককে গোটা ব্যাপারটা খুলে বলেন এবং তার সঙ্গে মোবাইলে রেকর্ডিং কথাবার্তাও প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুনঃ বিজয় মিছিলের পরিবর্তে লালগড়ে মানুষের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস
রবিবার রাতে জগৎবল্লভপুর থানায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ওই মহিলা আসেন। ওই তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশকে যাবতীয় মোবাইল রেকর্ডিং ক্লিপ জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কাজি সাবির আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে ওটা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটা সিপিএম আইএসএফের রাজনৈতিক চক্রান্ত।
লোকসভা ভোটের আগে ওই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ভোটে এগিয়ে থাকার কারণে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার গলার আওয়াজকে কম্পিউটারে কারসাজি করে বানানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এদিকে জগৎবল্লভপুর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, দলের কাছে অভিযোগ এসেছে। দল গোটা ঘটনার নজর রাখছে। যদি ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয় দল ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।