ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শিল্ড জয় করে এশিয়ান লিগের প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে প্রথম ম্যাচেই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলো না মোলিনার ছেলেরা। তাজাকিস্তানি শত্রু পক্ষ রাভশান ক্লাবের সামনে শূন্যতেই থেমে গেল গঙ্গা পারের দল সবুজ মেরুনের চাকা। বুধবারের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ 2 ম্যাচের শেষে দুই দলেরই ফলাফল 0-0। নেপথ্যে একাধিক ভুল।
এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচেও অসফল মোহনবাগান
বুধবার সন্ধ্যা 7:30 টায় ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাজাকিস্তানের ফুটবল ক্লাব রাভশানের বিরুদ্ধে আক্রমণ সানাতে মাঠে নামেন দ্বীপেন্দু বিশ্বাসেরা। দুর্বল রক্ষণভাগের সমস্যায় শুরু থেকেই ভুগছিল বাগান। অন্যদিকে প্রথম থেকেই দাপটের সাথে মাঠ দখল করে রেখেছিল রাভশানের ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় ম্যাচ। এরই মধ্যে প্রথম আধ ঘন্টায় জোড়া হলুদ কার্ড পান মোহনবাগানের লড়াকু দুই ডিফেন্ডার দীপেন্দু বিশ্বাস ও আশিস রাই । এরপর যত ম্যাচ এগিয়ে যায় রেফারির হলুদ সর্তকতার শিকার হন বাগান প্লেয়াররা। দুই পক্ষের প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে শিকে ছেঁড়েনি কারোরই। ম্যাচের প্রথম 45 মিনিট শেষে দুই দলের প্রাপ্তি শূন্য।
নির্দিষ্ট বিরতির পর শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের বাকি অংশ। প্রথমদিকে শুরুটা ঠিকঠাক হলেও দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের রক্ষণভাগের ক্ষত আলগা হয়ে যায়। এদিনের ম্যাচে বাগানের তুলনায় রক্ষণভাগে অনেকটাই আটোসাটো নিরাপত্তা দিয়েছে রাভশানের ছেলেরা। সবুজ মেরুনের উপর প্রথমার্ধের দাপট দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত রেখেছিল নামজাদা ক্লাব রাভশান কুলব। ম্যাচের শুরু থেকেই বল কিন্তু ছিল তাজাকিস্তানি ক্লাবের ছেলেদের পায়েই। ম্যাচের শেষ অংশেও সেই একই দৃশ্য অনুভব করেছেন দর্শকরা। গোটা ম্যাচ জুড়ে একাধিক মিস পাস ও ভুল সিদ্ধান্তই বাগান প্লেয়ারদের বিপদ ক্রমশ বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের দ্বিতীয় পর্বে গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করে রাভশান প্রমাণ করেছে তারাও গোল করতে পারে। যদিও ম্যাচের শেষ অংশে পৌঁছে তা বাস্তবে পরিণত হতে দেখা যায়নি। একটানা সুযোগ তৈরির চেষ্টা সত্ত্বেও একাধিক ভুল পাস ও রক্ষণভাগের অসুস্থতার কারণে অস্বস্তি বাড়তে থাকে দুই দলেরই। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় একে অপরের উপর চাপ বাড়াতেই ব্যস্ত ছিল দুই পক্ষের ফুটবলাররা। অবশেষে রেফারির দীর্ঘ বাঁশিতে হয় ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা। বুধবার যুবভারতীর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ম্যাচ গোলশূন্য হলো। আইএসএলের পর এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের ফলাফল অস্বস্তি বাড়িয়েছে সমর্থকদের। দুর্বল রক্ষণভাগই কি তীরে এসে তরী ডোবালো মোলিনার? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।