ISL East Bengal: চাপের মুখে ইস্টবেঙ্গল, আইএসএল মরশুম কী ফের বরবাদ?

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

ISL East Bengal: আনোয়ার আলীর নির্বাসনে চাপে পড়েছে লাল হলুদ। জাতীয় দলের ডিফেন্ডারকে নিয়ে জল গড়িয়েছিল অনেকটাই। মোহনবাগান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে সই করায় আজ ফুটবল ক্যারিয়ার থেকে দীর্ঘ 4 মাসের জন্য নির্বাসন দেওয়া হয়েছে আনোয়ারকে। পাশাপাশি এই কাজের জন্য বিরাট ধাক্কা খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)আইএসএল(ISL) শুরুর আগেই ট্রান্সফার ব্যান হয়ে গিয়েছে এই ক্লাবের।

কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)?


আনোয়ার আলীকে(Anwar Ali) নিয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। একইসঙ্গে ব্যান করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি ক্লাব দুটির ট্রান্সফার। কাজেই আগামী মরশুমের আগে নতুন কোনও প্লেয়ারকে সই করাতে পারবেনা কেউই। অন্যদিকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আসন্ন আইএসএল। আর তার আগেই বড়সড় সমস্যার মুখে লাল হলুদ। তাহলে কি আনোয়ার আলীকে সই করানোই কাল হলো ইস্টবেঙ্গলের(East Bengal)? এখন এই প্রশ্নেই উত্তাল গোটা নেট মাধ্যম।

কমিটির এই সিদ্ধান্তে কি নতুন দিশা পেল সবুজ মেরুন?


মোহনবাগান(Mohunbagan) ক্লাবের সাথে 4 বছরের চুক্তি থাকা সত্ত্বেও আনোয়ার আলীকে একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই রাস্তা নিজেই তৈরি করেছিলেন জাতীয় দলের এই তরুণ ডিফেন্ডার। আর তাতেই শাস্তি পেতে হলো ইস্টবেঙ্গলকে। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 2026 সাল পর্যন্ত লাল হলুদদের দলে দেখা যাবে না কোনও নতুন ফুটবলারকে।

তবে এখানেই শেষ নয়, ট্রান্সফার ব্যান হওয়ার পাশাপাশি 12 কোটি 90 লক্ষ টাকার জরিমানা মোহনবাগানকে ফেরত দেবে আনোয়ার । সেই দায়ভার সমানভাবে রয়েছে দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলের। কাজেই আসন্ন আই এস এলের আগে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা একেবারেই শোচনীয় বলা চলে। যা সবুজ মেরুনদের অনেকটাই সাফল্য দেবে বলে মনে করছেন একাংশ। বিগত বছরের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্স তেমন একটা চোখে পড়ার মতো ছিল না। আর এবার ইস্টবেঙ্গলের কাঁধে রয়েছে বাড়তি চাপ। ফলে সেই সুযোগ যে সবুজ মেরুন লুফে নেবে একথা বলাই যায়।

আরও পড়ুনঃ বিরাট শাস্তি ঘোষণা আনোয়ারের! 4 মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসন

প্রসঙ্গত, 2024 আইএসএল শুরুর আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত বিভিন্ন দল। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্লে অফে নিজের জায়গা করে নেওয়া এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সূত্র মারফত খবর, খুব শীঘ্রই আইনি পথে হাঁটতে পারে লাল হলুদ।