বিক্রম ব্যানার্জী: ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব এখন আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি(champions Trophy 2025) ঘিরে। পাকিস্তান সফর বাতিল করে আইসিসিকে(ICC) হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব জানিয়েছে ভারত। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে তাদের দেশে খেলতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা পিসিবি হাইব্রিড মডেলে অরাজি। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতকে পাকিস্তানে গিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে কোনও দিনও ভারতের সাথে মাঠে নামবে না পাকিস্তানের ছেলেরা। পাক কর্তাদের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এহেন পরিস্থিতিতে দুই দলের স্নায়ুযুদ্ধ ও মতবিরোধ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে আইসিসি। সেই সাথে রয়েছে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কাও।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলি হামলায় নাজেহাল ফিলিস্তিনিরা, নিহতদের সংখ্যা 1200 পার
দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই দর্শক মহলে আলাদা উত্তেজনা। পাশাপাশি বিশ্বের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীদের বহু অপেক্ষার অবসান। তবে সেই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তের আয়োজন না হলে টিকিট বিক্রি থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন দাতাদের হুড়োহুড়ি কিছুই হবে না। এক কথায় চরম অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগবে উদ্যোক্তারা। ক্ষতির দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছবে ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করা আইসিসিও। কাজেই ভারত ও পাকিস্তান দুই দলকেই আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য আগ্রহী করে একই ছাদের তলায় আনতে হবে। যেই কাজ দিন দিন কঠিন হচ্ছে আইসিসির পক্ষে।
ভারত পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে পাকিস্তানি প্লেয়াররা আর কখনই খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পিসিবি। ফলত পাকিস্তানের ভারত বয়কট নীতিতে আখেরে ক্ষতি হবে আইসিসিরই। তাছাড়াও আসন্ন 2025 বর্ষের নারী বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে 2029 চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও 2031 সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজন করবে ভারত। কাজেই ভারতের পাকিস্তান সফর বাতিলের পরিপেক্ষিতে এই ম্যাচগুলিতে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে পাক শিবির।
যার জেরে আইসিসির রাজত্বে চরম মন্দা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। কেননা, 2027 পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছি আইসিসি। যার মধ্যে ভারত- পাকিস্তানের বহু প্রতিক্ষিত ম্যাচের উল্লেখ রয়েছে। কাজেই ভবিষ্যতে একে অপরের বিরুদ্ধে যদি তারা খেলতে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে তার ক্ষতিপূরণের চাপ গিয়ে পড়বে আইসিসির কাঁধে। যা কোনও মতেই চাইবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। তাহলে কোন পথে এগোবে তারা? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।