বিক্রম ব্যানার্জী: ঘরের মাঠে একটানা দ্বিতীয় হার বার্সেলোনার(FC Barcelona)। প্রথমটিতে পালমাসের ছেলেদের কাছে নতজানু হয়ে পরেরটিতে সিটি লেগানসের বিপক্ষে 0-1 ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বার্সার ফুটবলারদের। ফলত টেবিল টপার হয়েও শত্রুপক্ষকে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পারছে না বার্সেলোনা(FC Barcelona)। বিশেষত গতকাল রাতের ম্যাচে পরাজয়ের পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বার্সার কোচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড় সকলেই।
ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল অন্তিম পর্বে ম্যাচ গড়াবে বার্সার দিকেই। শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েছিল বার্সার ছেলেরা। 80 শতাংশেরও বেশি সময় বল ছিল তাদের পায়েই। সেই সাথে জাল এবং বলের মধ্যে ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় বেশিরভাগ শর্ট এসেছে লা লিগার দলের পক্ষ থেকেই। তা সত্ত্বেও ম্যাচের শেষটা ভাল হলো না বার্সেলোনার।
শত্রু পক্ষের কাছে 0-1 গোলে হেরে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলেও বড়সড় ধাক্কা খেল দলটি। তালিকার শীর্ষে থেকেও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে বর্তমানে মাত্র 1 পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে তারা। কাজেই আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল না মেলায় হতাশ বার্সা ব্রিগেড। মূলত লেগানাসের বিরুদ্ধে শেষ পরাজয় টাই হতাশার ঝুলিতে নতুন পালক ভরে দিয়েছে।
গতকালের ম্যাচে পরাজয়ের দুঃখ যেন কাটিয়েই উঠতে পারছে না বার্সা। শেষ ম্যাচে লজ্জার পরাজয়ে হতাশা ঝড়ে পড়েছে মিডফিল্ডার পেদ্রির কন্ঠেও। এ প্রসঙ্গে খেলোয়াড়ের বক্তব্য, আজ যা হলো, এরপর খুশি হয়ে বাড়ি ফেরা আমাদের পক্ষে অসম্ভব।। ম্যাচটা আমরা শুরু করেছিলাম যেন অর্ধঘুম নিয়ে। পরবর্তীতে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারিনি।
এর থেকে আরও ভাল করতে হবে আমাদের। প্রতিপক্ষকে কিছুতেই ম্যাচের শুরুর দিকে গোল করতে দেওয়া যাবে না। পেদ্রির শেষ সংযোজন, আমরা যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করেছিলাম। তবে কীভাবে চেষ্টা করতে হবে তা জানা উচিত আমাদের। লা লিগায় আমরা কেন এতটা ধুঁকছি, এর ব্যাখ্যা পাওয়া সত্যিই কঠিন। তবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশেষ কারণে দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কোচ হান্সি ফ্লিক। যার কারণে শেষ ম্যাচে তার সান্নিধ্য পাননি খেলোয়াড়রা। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটেও থাকতে পারেননি তিনি। মূলত ফ্লিকের পরিবর্তে সহকারি কোচ হিসেবে যিনি দল পরিচালনা করেছিলেন সেই মার্কাস জর্গ বার্সার পরাজয়ের পর থেকেই নিখোঁজ।