রাজীব ঘোষ: মোহনবাগানের(Mohunbagan) ডিফেন্ডার ফুটবলার আনোয়ার আলিকে(Anwar Ali)ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। আচমকাই আনোয়ারকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয় ভারতীয় ফুটবলে। তার কারণ, দিল্লি এফ সির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের একটি টুইট। আর সেই টুইটকে ঘিরে ফুটবল দুনিয়ায় শুরু হয়ে যায় সমস্ত জল্পনা। গত বছরেই আনোয়ার আলিকে মোহনবাগান ৫ বছরের লোন চুক্তিতে সই করায়। ফিফার (FIFA Rules) নিয়ম অনুযায়ী কোনো ফুটবলারকে ১ বছরের লোনেই কোনো দল নিতে পারবে। এরপরে আবার সেই ফুটবলারকে পুরনো ক্লাবেই ফিরিয়ে দিতে হবে। আর তা যদি না করা হয়, তাহলে নতুন চুক্তি করে সেই ফুটবলারকে ফের দলে নিতে হবে। আর এই বিষয়কে টুইট করেই দিল্লি এফসির রঞ্জিত বাজাজ ভারতীয় ফুটবলে শোরগোল ফেলে দেন।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আনোয়ার আলি এই বছর বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট তার সেই আবেদনে রাজি হয়নি। দিল্লি এফ সির রঞ্জিত বাজাজ সেই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য আসরে একেবারে নেমে পড়েন। ২০২১- ২৩ সাল পর্যন্ত আনোয়ার আলি এফসি গোয়াতে লোনে খেলেছেন। আর গত বছর মোহনবাগানে লোনের চুক্তিতে খেলার জন্য সই করেন। সেই জায়গায় দিল্লি এফসির রঞ্জিত বাজাজ চেয়েছিলেন, আনোয়ারের বাজারদর আরো বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে। ডিফেন্ডার আনোয়ারকে পাওয়ার জন্য ভারতের অন্যান্য ফুটবল ক্লাবও যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মোহনবাগানেই থেকে যান আনোয়ার আলি।
আরও পড়ুনঃ ইয়ামালের পায়ের জাদুতে এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন
২০২৫- ২৬ সাল থেকে ফিফার নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। তার অর্থ, কোনো ফুটবলারকে সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্যই কোনো দল লোনে নিতে পারবে। তারপরে ফের নতুন করে তাকে চুক্তিতে সই করাতে হবে। এই দেশে এখনো সেই নিয়ম যেহেতু কার্যকর হয়নি। ফলে আনোয়ারের মোহনবাগানে খেলতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অন্য কোনো ফুটবল দল যদি এক্ষেত্রে আনোয়ারকে পেতে চায়, তাহলে মোহনবাগানের লোন চুক্তির জন্য সেই দল ভারতীয় ডিফেন্ডারকে পাবে না। আনোয়ারের এই মুহূর্তে মোহনবাগান ছাড়ার কোনো রাস্তা নেই। সবুজ- মেরুন জার্সিতেই আনোয়ারকে খেলতে হবে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এর পক্ষ থেকে বাজাজের সমস্ত দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে এদিন দুপুরে আনোয়ারকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করা হয়। আর সেখানেই যাবতীয় বিতর্কের অবসান হয়। অর্থাৎ মোহনবাগানে সবুজ- মেরুন জার্সিতেই খেলবেন আনোয়ার আলি।