নিসর্গ নির্যাস মাহাতো~ তাঁর বারবার দলবদল নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু শিল্প প্রতিভা নিয়ে নয়। দেশ-বিদেশে তিনি ‘আইকন’। তিনি পদ্মভূষণের আগেও একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত। তাঁর শিল্প চর্চা বিশ্বে সমাদৃত। বাংলা তথা দেশের গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি! আর যাই হোক সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিবাদ হতে পারে না।
মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে রোড শো করেছিলেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের অতি উৎসাহী কয়েকজন স্লোগান দিলেন, প্ল্যাকার্ড- কালো পতাকা দেখালেন। কোথাও লেখা ছিল ‘গোখরো’ আবার কোথাও ‘চন্দ্রবোড়া’। কারও হাতে আবার ‘কার্বলিক অ্যাসিড’ লেখা ফেস্টুন। এসব ঠিকই ছিল রাজনৈতিক বিরোধিতা হিসেবে। কারণ, রাজনৈতিক মঞ্চে চলচ্চিত্রের ‘জাত গোখরো’র আমদানি তিনিই করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী বিরোধী তৃণমূলকে ভোট নয়, ঝাড়গ্রামের সভায় বললেন মোদী
হঠাৎ দেখা গেল নাগিন ড্যান্স। তাও কি আদৌ নাচ ছিল ওটা? ব্যঙ্গতেও তো শালীনতা প্রয়োজন, তাই না? তারপরেই মিঠুনকে লক্ষ্য করে ধেয়ে এল প্লাস্টিকের বোতল- ইট। অভিযোগ জুতো ছোঁড়ারও। একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাত অভিনেতাকে এ ভাবে অসম্মান? ইট ছোড়া কি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়? তাও কিছুদিন আগেই যাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল।
এরপরে সবুজ ও গেরুয়া শিবিরের সংঘর্ষ নিয়ে কিছুই বলার নেই। আহত বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
রাজনৈতিক বিরোধিতা হোক সুষ্ঠু। ‘মানসিক অসুস্থতা’ নিয়ে রাজনীতির ময়দানে আসা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু সাধুদের অপমান! মোদীর মারাত্মক অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে
অতি উৎসাহীদের মনে রাখা উচিৎ, বিজেপি দলটা মিঠুন করলেও তৃণমূলের রাজ চক্রবর্তী, দীপক অধিকারী (দেব), সোহম চক্রবর্তী তাঁর পাশে থেকেছেন অসুস্থতায়-শিল্পে- সৌজন্যে। মানসিক অসুস্থরা দলে নিজেদের ‘সক্রিয়’ দেখাতে গিয়ে শিবিরের অনেক বেশি বদনাম করল।
বলার শুধু একটাই। মনে রাখতে হবে ইট-বোতল ছোঁড়া ‘শিকার’-এর চেষ্টা হলেও তা ‘মৃগয়া’ হয়ে যায় না। আর ওই ‘নাচনদার’ কিন্তু ‘ডিস্কো ডান্সার’ হয়ে উঠবেন না।