ফুটপাত দখল করা দোকান ভাঙা হচ্ছে, রাজনীতি ও ধর্মের নামে জবরদখল জায়গার কী হবে?

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

নিসর্গ নির্যাস মাহাতো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুর পরিষেবা নিয়ে। জবরদখল, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বলেছেন তিনি। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়েছে। প্রশ্ন, রাজনীতি ও ধর্মের নামে দখল করা জায়গাগুলোর কী হবে?

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও পুরসভা-পুরনিগমের তৎপরতায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে রাস্তা ও ফুটপাতে বসে থাকা দোকান। নেমেছে বুলডোজারও। কিন্তু জবর দখল করে শুধু তো গুমটি-ঝুপড়ি দোকান নেই। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ওপরে জবর দখল করে গড়ে উঠেছে ক্লাব, প্রায় সমস্ত দলের পার্টি অফিস। দোকান নিয়ে না হয় রুটি রুজির প্রশ্ন আছে। তাই উচ্ছেদের পরে সরকার পুনর্বাসনের কথাও ভাববে নিশ্চয়ই। দেখা যাবে, জবর দখল করে থাকা প্রায় প্রতিটি ক্লাব ও পার্টি অফিসের মাথায় রয়েছে কোনও না কোনও স্থানীয় দাদা-দিদির হাত। ক্লাব ও পার্টি অফিস নিশ্চয়ই রুটি রুজির নয়।

আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় স্ত্রী কে তিন তালাক দিলেন মুসলিম ব্যক্তি

আবার, ধর্মের নামেও হয়েছে জায়গা দখল। সেই তালিকায় নেই কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম। বৈধ জায়গায় বহু উপাসনালয় থাকলেও জায়গা জবরদখল করেও তৈরি হয়েছে কিছু না কিছু। তবে?

রাজ্য জুড়ে পুলিশ তৎপর হয়েছে। উচ্ছেদ থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নিয়ে সক্রিয়। এরই মাঝে বিভিন্ন জায়গায় দাবি উঠছে, এলাকায় এলাকায় সরকারি উদ্যোগে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করার। নোটিশ- সাইনবোর্ড লাগানোর।

বেআইনিভাবে নির্মাণ হওয়া ক্লাব ও পার্টি অফিস গুলির কী হবে? ধর্মের নামে জায়গা দখল করা নির্মাণ গুলির কী হবে? সে ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা কী? সেগুলি না হয় রইলই কিন্তু পরবর্তীকালে বেআইনিভাবে বা দখল করে নির্মাণকার্য আটকাতে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নেবে কী? নাকি মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে বিভিন্ন জায়গায় পুরনিগম-পুরসভা ও পুলিশের এই সক্রিয়তা কিছুদিনের? ধীরে ধীরে আবার হয়ে যাবে লাগামছাড়া?

উচ্ছেদ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা। তা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায়। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। বৈঠকে থাকবেন পুরসভা ও পুরনিগমগুলির চেয়ারম্যান, মেয়র, সচিব। সমস্ত থানার পুলিশ আধিকারিকদের ভার্চুয়াল ভাবে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

জবরদখল ও বেআইনি নির্মাণ আটকাতে গেলে রাজ্যের সমস্ত জেলার প্রশাসনকে আক্ষরিক অর্থেই তৎপর থাকতে হবে প্রতিদিন।