নিসর্গ নির্যাস মাহাতো: তিনি বলছেন দাঙ্গা করা হতে পারে, ওঁ বলছেন দাঙ্গা করা হতে পারে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দোষারোপ করছে একে অপরকে। অভিযোগ, চক্রান্তের। জোট বাঁধুন জনতা।
নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার আগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন নিজেদের কাছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দেওয়া হোক, যেই লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সেই কেন্দ্রের কোনও অঞ্চলে দাঙ্গা হলে ভোট বয়কট করা হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাজনীতি হলে জনতা ভোট দেবেন অন্য পক্ষকে। না হলে জনতার হুঁশিয়ারি থাক, ওই কেন্দ্রের সর্বত্র ভোট বয়কটের। ভোট দেওয়া নাগরিকের অধিকার। তাই দাঙ্গার বিন্দুমাত্র আভাস পেলে মানুষ ভোট দিতে পারেন নোটা’তে।
বহুল প্রচলিত কথা, ভোট করিয়ে নিতে হয়। মানুষ জোট বেঁধে চ্যালেঞ্জ করে দেখাক। কোন নেতা-নেত্রী ভোট করিয়ে নেবেন! নিজের ভোট দিতে না পারলে গর্জে উঠুন।
এমন বহু মানুষকে দেখা যায়, যে বলে একটা মাত্র ভোটে কী হবে? এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার প্রত্যেকের। একটা একটা করে ভোটে আনা যায় আপামর বদল। বিন্দুতে বিন্দুতেই কিন্তু সিন্ধু হয়। তাই হুঁশিয়ারি থাক, দাঙ্গা হলে ইভিএমে বুঝিয়ে দেওয়ার।
শুধু অনুরোধ, ভোটের আগে সামান্য মদ-মাংস-টাকায় বিকিয়ে যাবেন না। আপনি এক মুহূর্তের জন্য বিকিয়ে যাওয়া মানে আপনার পাঁচটা বছর হারিয়ে যাওয়া। আর ভবিষ্যৎ সব সময় অনিশ্চিত হয়। মনে রাখবেন, ভালো পরিষেবার জন্য ভোট দিচ্ছেন। যাঁরা সংসদে যাবেন তাঁরা আপনাদের কথা বলতে বাধ্য। আপনি বাধ্য নন নির্দিষ্ট কাওকে ভোট দিতে।