Jhargram: গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতার পালাবদল, বোর্ড দখল করল তৃণমূল

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার: দলত্যাগ বিরোধী আইনে কুড়মি (Kurmi) বোর্ডের পঞ্চায়েত প্রধানের সদস্য পদ খারিজ হয়েছিল। এতদিন উপপ্রধান সামলাচ্ছিলেন প্রধানের দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার Jhargram এর জামবনি(Jamboni) ব্লকের কেন্দডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের শর্মা নায়েক। এর ফলে পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের(TMC) দখলে এল।

কেন্দডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ছিল দশটি। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে ছ’টিতে তৃণমূল ও চারটিতে কুড়মি জোটের নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূলের ছয় প্রার্থীর অন্যতম মামনি খিলাড়ি সাধারণ আসন আসনে জিতেছিলেন। প্রধান পদটি তফসিলি (এসসি) জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত ছিল। প্রধান নির্বাচনের দিন তৃণমূলের প্রস্তাবিত প্রার্থী শর্মা নায়েকের বিপক্ষে কুড়মি জোটের নির্দল প্রার্থীরা মামনির নাম প্রধান পদে প্রস্তাব করেন। কারণ, মামনির তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র ছিল। ভোটাভুটিতে সমান (৫-৫) সংখ্যক ভোট পড়ায় শেষে লটারিতে প্রধান হন মামনি। উপপ্রধান হন তৃণমূলের পানমণি টুডু। মামনির জাতিগত শংসাপত্রটি ভুয়ো বলে গত বছর সেটি বাতিল করে দিয়েছিল প্রশাসন। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁকে প্রধান পদ থেকে অপসারণ করেন মহকুমাশাসক। অপসারণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High court) মামলা করেন মামনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামনির শংসাপত্র বাতিলের প্রশাসনিক নির্দেশটি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ফের প্রধান পদ ফিরে পান মামনি।

আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবার ফের রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো দেশবাসী, লাইনচ্যুত ট্রেনের একাধিক কামরা

এরপর ১৩ জুন কেন্দডাংরি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিনয় মাহাতো দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামনির সদস্যপদ খারিজের জন্য বিডিও-র কাছে আবেদন করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর দু’পক্ষকে শুনানিতে ডাকেন বিডিও। মাম‌নি শুনানিতে হাজির হননি। এরপর তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের ২১৩ক ধারায় ২ সেপ্টেম্বর মামনির পঞ্চায়েত সদস্য পদ খারিজ করে দেন বিডিও। উপপ্রধানকে অস্থায়ী ভাবে প্রধান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে প্রধান নির্বাচন করতে হয়। বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচনের জন্য সভা ডাকেন বিডিও। এদিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন জামবনি ব্লকের পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক মোনান নায়েক। মামনির সদস্য পদ বাতিল হওয়ায় বর্তমান ৯ সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের পাঁচ সদস্য উপস্থিত হন। তবে নির্দাল কুড়মি চার সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান(Panchayat board) নির্বাচিত হন তৃণমূলের শর্মা নায়েক।