বিক্রম ব্যানার্জী: প্রতিবার দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজোর দিন বিকেলে শ্যামা রূপে পূজিতা হন সিদ্ধপীঠ তারাপীঠের মা তারা। সকাল থেকেই জোর কদমে চলছে সেই প্রস্তুতি। সন্ধ্যায় মায়ের আরতি করে নীতি মেনে শুরু হবে নিশি পুজো। তখনই কালী রূপে পূজিতা হবেন মা তারা। যা দেখতে সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।
আজ দুপুর 3 টে বেজে 7 মিনিট থেকে শুরু হয়েছে দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথি। প্রতিবছর এই শুভদিনে ভোর চারটের সময় মায়ের শিলা মূর্তিকে স্নান করানো হয়। মহাস্নান পর্ব শেষে শুরু হয় মঙ্গল আরতি। এদিন সকাল থেকেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। রাজবেশে মা তারাকে দেখতে মন্দির চত্বরে নামে হাজার হাজার ভক্তের ঢল। এবারেও সেই নিয়মের অন্যথা করেননি ভক্তবৃন্দরা। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, আজ সারারাত ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে মন্দিরের মূল দরজা।
মা তারাকে কালী রূপে পুজিতা হতে দেখার মধ্যে এক অসম্ভব শান্তি ও পবিত্রতা রয়েছে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। কথিত আছে, তারাপীঠের মা তারা সব দেবীর ঊর্ধ্বে। তাই এই সিদ্ধপীঠে অন্য কোনও দেবী মূর্তির পুজো হয় না। ফলত জগত জননী মা তারাকে কালী রূপে পুজো করেন পুরোহিতরা । সন্ধ্যা আরতির পর নিশি পুজোর জন্য রাত 11 টা নাগাদ মাকে স্বর্ণালঙ্কার পরিয়ে ডাকের সাজে সাজানো হয়। ভক্তরা যাতে সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পারেন তার জন্য সারারাত খোলা থাকবে গর্ভ গৃহের দরজা।
আরও পড়ুন: ল্যাপটপের সবচেয়ে ক্ষুদ্র সংস্করণ বাজারে আনল অ্যাপেল, সাইজ 5 বাই 5 ইঞ্চি
উল্লেখ্য, প্রতি বরের মতো এবারেও সন্ধ্যা আরতি ও রাতের নিশি পুজোর আগে দুপুরে মা তারাকে পোলাও, ভাত, ডাল, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচরকম তরকারি, পাঁঠার মাংস(বলি দেওয়া), পোড়া শোল মাছ সহ অন্যান্য মাছ, চাটনি পায়েস, পাঁচ প্রকার মিষ্টি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। সন্ধ্যা 6 টার আরতি শেষে মাকে শীতল ভোগ রূপে লুচি, মিষ্টি, খই ও মুড়কি দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে, কালী পুজোর পুণ্য তিথিতে গমগম করছে সাধক বামাক্ষ্যাপার তারাপীঠ।