প্রেম করে বিয়ে (Love Marriage) করেছেন? ভাবছেন ভবিষ্যতের দিনগুলো সুন্দর করে তুলবেন একে অপরের হাত ধরে? তাহলে এখনই সাবধান হন। কারণ সে গুড়ে বালি। কারণ সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে যে সব দম্পতি প্রেম করে বিয়ে করেছেন তাদের অধিকাংশের বিয়ে টিকছে। ডিভোর্সের হার তাদের ক্ষেত্রে প্রায় ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে কিন্তু ডিভোর্সের হার অনেকটা কম। সেক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে ২৮ শতাংশ দম্পতির। সম্প্রতি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের স্ট্যাটিসটিক্স বিশেষজ্ঞ সুদীপ ঘোষ প্রায় সাড়ে চারশো দম্পতিকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন, তাতেই উঠে আসে এই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।
আরও পড়ুনঃ হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের পালিত হল পঞ্চনন্দতলার শুলং গড়ী ঠাকুর বাড়ির প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা
বিয়ে নিয়ে প্রচলিত ধ্যান – ধারণাগুলি ভাঙছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন অনেকেই মনে করেন দুজন ভালবাসার মানুষকে একসঙ্গে থাকতে গেলে বিয়ে করার প্রয়োজন নেই। আবার বিয়ে করেও যে একসঙ্গে থাকতে হবে তার কোন মানে নেই। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ সুদীপ ঘোষ ওই সমীক্ষা করার সময় বিয়ের পরিবর্তনশীল ধ্যান – ধারণাকেও মাথায় রেখেছিলেন। তারা এই সমীক্ষার জন্য বেশকিছু সূচক স্থির করেন। সেগুলি হল ডিভোর্সের হার, সামাজিক চাপ, অর্থনৈতিক চাপ, দাম্পত্য সন্তোষ ইত্যাদি। সেগুলির উপর ভর করেই করা হয়েছে সমীক্ষাটি। সমীক্ষার ক্ষেত্রে যে সব দম্পতির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে তারা প্রায় সবাই অল্পবয়সী। দেখা গেছে লাভ হোক বা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ, ঝগড়া হচ্ছে সবক্ষেত্রেই। কিন্তু ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজকে টেক্কা দিয়েছে লাভ ম্যারেজ। প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঝগড়া মিটে যায় তাদের, লাভ ম্যারেজে সেই হার ৪০ শতাংশ। আবার প্রেমের বিয়েতে পরিবারের অন্যান্যদের অংশগ্রহণ যেখানে ২০ শতাংশ সেখানে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে সেই হার ৭০ শতাংশ।
সমীক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রচুর বিয়ে ভাঙছে আজকাল। মারাত্মক কাজের চাপ, পরিবার – পরিজনদের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক দম্পতির মধ্যেই তৈরি হচ্ছে দূরত্ব। অন্যদিকে বহু মানুষ হয়তো আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ভুল বুঝছেন। তারা বুঝতে পারছেন একসঙ্গে জীবনের বাকি দিনগুলো কাটানো তাদের পক্ষে অসম্ভব। সুতরাং সাধু সাবধান …।