Kalipuja Bhog: কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথি। রাত থেকে রাজ্যের দিকে দিকে শুরু হয়েছে মা কালীর পূজা (Kalipuja 2024)। আজও সারাদিন বিভিন্ন উপাচারে ও বিভিন্ন মতে কালীপূজা (Kali Puja) চলবে। আমাদের রাজ্যে রয়েছে একাধিক বিখ্যাত কালীপীঠ (Devi Kali)। কাল থেকেই জাকজমকে ভরে উঠেছে সেই সব মন্দির। কালী (Devi Kali) মাহাত্ম্য স্মরণে হচ্ছে ভক্ত সমাগম। এই স্থানগুলির যেমন পুজোর (Kali Puja) মাহাত্ম্য রয়েছে, তেমনই ভোগের থাকে বিভিন্ন বৈচিত্র্য। বিভিন্ন উপাচার সাজিয়ে শুদ্ধচিত্তে নৈবিদ্য অর্পণ করা হয় দেবী কালীকে।
ভোর থেকে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের দেবী ভবতারিণীর আরতি ভক্তদের কাছে এক বিশেষ দ্রষ্টব্য৷ আজ সারাদিন বিপুল ভক্ত সমাগম হবে এখানে। ঠাকুর রামকৃষ্ণর সমকালীন ভোগ নিবেদন এখানে এখনও হয়ে আসছে দক্ষিণেশ্বরে। সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি থাকে মায়ের ভোগে। কারন বারির পরিবর্তে নিবেদিত হয় ডাবের জল।
বীরভূমের তারাপীঠের মা তারা এই বিশেষ দিনে কালীরূপে পূজিতা হন। এই দিন দুবেলা অন্নভোগ দেওয়া হবে দেবীকে৷ খিচুরি, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, মন্দিরের বলির মাংস, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি থাকে নিবেদনে৷ সেই সঙ্গে নিবেদনে থাকে একটি বিশেষ পদ- পোড়ানো শোল মাছ। সন্ধ্যার আরতিতে মাকে নিবেদন করা হয় লুচি ও মিষ্টি।
সতীর একান্নপীঠের অন্যতম কালীঘাটের মন্দিরে মা কালীর ভোজ্য সাজানো হয় বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপিভাজা, আলুভাজা, কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস দিয়ে। রাতের আহারে থাকে লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ। শাস্ত্র বলে, মা কালীর উদ্দেশ্যে এই নিবেদন আসলে ভক্তের মনের সমস্ত অন্ধকার মায়ের চরণে নিবেদন করে আলোর উৎস সন্ধান।