Health Policy Details: বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, রোগও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি স্বাস্থ্য বীমা(Health Policy) খুবই উপকারী। এর সাহায্যে শুধু চিকিৎসা ও ওষুধের খরচই মেটানো যায় না, কর সাশ্রয়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। প্রত্যেকের তাই, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে একটি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা করা দরকার।
স্ত্রীর নামে স্বাস্থ্য বীমা করলে কী লাভ হবে?
স্বাস্থ্য বীমা পলিসি নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। কিছু লোক জানতে চায় যে তাঁদের স্ত্রীর(Wife) নামে স্বাস্থ্য বীমা কেনা তাদের স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের পরিমাণের জন্য ভালো হয় কিনা। আসলে, বীমা কোম্পানীগুলি বিভিন্ন শর্তাবলী অনুসারে প্রিমিয়ামে ছাড় দেয়। এই কারণে, অনেকে মনে করেন যে তাঁরা যদি তাঁদের স্ত্রীর নামে বীমা নেন তবে কম প্রিমিয়াম দিতে হবে।
স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
স্ত্রীর নামে বীমা নিলে প্রিমিয়াম কমে না। প্রকৃতপক্ষে, স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম বয়স এবং চিকিৎসা ইতিহাসের মতো বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুনঃ বিরল ঘটনা! ব্যাট করতে নেমে বাবা হওয়ার সুখবর পেলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন কারর পরিবারে তিনজন লোক আছে, যার মধ্যে স্বামীর বয়স 30 বছর, স্ত্রীর বয়স 26 বছর এবং তাঁদের 1 সন্তান রয়েছে। এবং যদি তাঁদের কোনও চিকিৎসা ইতিহাস না থাকে, তাহলে তাঁদের স্বাস্থ্য বীমার জন্য কম প্রিমিয়াম দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় বন্যার মুখোমুখি ঘাটাল! দানায় ফের বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরে
একই সময়ে, যদি স্বামীর বয়স 40 বছর, স্ত্রীর বয়স 36 হয় এবং তাঁদের একটি সন্তান থাকে, তাহলে প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেশি হবে। উপরন্তু, যদি পরিবারে কারও কোনও ধরনের চিকিৎসার হিস্ট্রি থাকে, তাহলে তো স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম আরও ব্যয়বহুল হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আধার কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের, আর করা যাবে না এই কাজ
মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসার খরচ কয়েকদিনের মধ্যেই লাখ ছাড়িয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, যাই হয়ে যাক, নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে একটি স্বাস্থ্য বীমা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ