Civil war in Sudan: যুদ্ধকবলিত সুদানে ধর্ষণের শিকার মহিলারা, অভিযোগের তীর আধা সামরিক বাহিনীর দিকেই

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বিক্রম ব্যানার্জী: গত বছর থেকেই সুদানে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। দুই বাহিনীর পারস্পরিক সংঘাদের মধ্যে বেঁচে থাকা যেন এক প্রকার দায় হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের কাছে। এহেন পরিস্থিতিতে সুদানের মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য জেজিরায় অসংখ্য মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযোগের তীর যদিও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের কর্মীদের দিকেই। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাও করেছেন বহু নারী।

আরও পড়ুন: হিজবুল্লাহের রকেট হামলায় ইজরায়েলে প্রাণ গেল 4 থাইল্যান্ডবাসীর

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরে আরএসএফ বাহিনী সুদানের অন্যতম রাজ্য জেজিরার মানুষদের ধরে ধরে হত্যা করেছে। এছাড়াও গণহত্যা সহ মহিলাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। সেই সাথে চলছে যৌন লালসা মেটানোর চেষ্টাও। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি সামরিক বাহিনী দ্বারা ধর্ষিতা নারীদের আত্মহত্যার খবরও সামনে এনেছে। যদিও জাতিসংঘের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের কর্মকর্তারা।

তারা জানিয়েছে, প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে যেসব কুরুচিকর অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এদিকে এক মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, সুদানে 6 জন মহিলা সামরিক বাহিনীর আক্রমণের শিকার হতে পারেন এই আশঙ্কায় আত্মহত্যা করেছেন তারা। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। একই সাথে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় 1 কোটি 10 লাখ। এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘ তথা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান বলেন, যুদ্ধ এখনই বন্ধ না হলে খুব শীঘ্রই দেশে মানুষের সংকট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে লাখ লাখ নাগরিকের।

উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ 2023 সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার লড়াই গৃহযুদ্ধের রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় আরএসএফের এক শীর্ষ কমান্ডার আবু আকলা কাইকা আধা সামরিক বাহিনীর দল ত্যাগ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে। কমান্ডারের পদত্যাগের পরই আরএসএফের সঙ্গ ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন কাইকাকে সমর্থনকারী কর্মীরা। তারপর থেকেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ। আর এই গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যেই শারীরিক খিদে মেটাতে টার্গেট করা হচ্ছে সুদানের মহিলাদের। এমনকটাই অভিযোগ অধিকাংশেরই।