বিক্রম ব্যানার্জী: রাশিয়ার(Russia) পরমাণু নীতিতে নয়া পরিবর্তন। জানা যাচ্ছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনও দেশ রাশিয়ার(Russia) ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে এবার থেকে পাল্টা জবাব পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে দিতে পারবে রাশিয়ার(Russia) সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার পরমাণু নীতিতে বদলে এনে গোটা বিশ্বকে চমকে দিলেন পুতিন।
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের 1000 দিন পূর্তির সন্ধিক্ষণে পুতিনের পরমাণু নীতিতে বদল নেতানিয়াহুর দেশকে বাড়তি চাপ দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেননা, অতি সম্প্রতি আমেরিকার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে জোরালো আঘাত হানার অনুমোদন পেয়েছে ইউক্রেন। যেই অনুমতি দিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মনে করা হচ্ছে বাইডেনের সিদ্ধান্তের কড়া জবাব দিতে পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনল ক্রেমলিন।
পুতিনের উদ্যোগে চালু হওয়া রাশিয়ার নয়া পরমাণু নীতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রবল ভাবে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, ছোট রকেট মিসাইল সহ অন্যান্য আকাশযান যা রাশিয়ার বুকে আঘাত হানতে পারে এমন যুদ্ধে ব্যবহৃত মিসাইল গুলিকে রাশিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাছাড়াও কোনও জোটের সদস্য যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অগ্রাসন চালায় সেক্ষেত্রে জোটের সকলেই এই অগ্রাসন চালিয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারবে মস্কো।
প্রসঙ্গত, এক প্রতিবেদন মারফত খবর, দেশের পরমাণু নীতিতে বদল আনলেও শোচনীয় অবস্থা ছাড়া পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করা যাবে না বলেই উল্লেখ রয়েছে নীতিতে। নয়া পরমানু নীতি অনুযায়ী, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুধুমাত্র দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্তিম উপায় হিসেবে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে শায়েস্তা করতে পারমাণবিক অস্ত্র তখনই ব্যবহার করা হবে যখন তাছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকবে না রাশিয়ার।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ জন্ম নেয় এই 5 দেশে, রইল বিস্তারিত