Pakistan Economic Crisis: বর্তমানে অর্থনৈতিক ভাবে নিতান্তই বেহাল অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। তহবিলের অবস্থা তথৈবচ, বিদেশি মুদ্রার ভাড়ার তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে ছ’টি সরকারি মন্ত্রক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। সেই সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ সরকারি কর্মচারীর চাকরি বাতিল করছে শাহবাজ শরিফ সরকার। ২৯ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণা করছেন পাকস্তানের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ অউরঙ্গজেব।
১৯৪৭ সালের জন্মলগ্ন থেকেই ভারত বৈরিতাকে প্রাধান্য দিয়েছে পাকিস্তান। একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। বারবার পরাজয়ের পর বজায় রেখেছে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ। সন্ত্রাসবাদকে প্রাধান্য দেওয়া, ভারত বিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য সহ একাধিক অভিযোগ ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে বারবার এনেছে নয়া দিল্লি। দিল্লি বারবার দাবি করেছে সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ওসামা বিন লাদেনের খোঁজও আমেরিকা পেয়েছে এই দেশেই। এই সমস্ত কারণেই সমগ্র বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বন্ধ হয়েছে বৈদেশিক অর্থনৈতিক সাহায্য। ফলাফল পাকিস্তানের চরম অর্থনৈতিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনের তরফে এসেছে অর্থনৈতিক ঋণও। কিন্তু তা পাকিস্তানের বর্তমান ঘাটতির তুলনায় নগন্য।
এর আগে পাকিস্তান নিজেদের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বিজ্ঞাপিত করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঋণ পেয়েছে। কিন্তু ভারত বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন, সেই ঋণে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষজন উপকৃত হননি, বরং তার সিংহভাগ খরচ হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে ও সন্ত্রাসবাদকে তোল্লাই দিতে। ঋণের টাকা খরচের বেনিয়মের কারণে এক সময় আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার পাকিস্তানকে ফের ঋণ দিতে অস্বীকার করে। আইএমএফের ঋণ পেতে আমেরিকার কাছে বিভিন্ন সময়ে দরবার করে পাকিস্তান। অবশেষে ২৬ সেপ্টেম্বর আইএমএফ পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
যদিও আইএমএফ ঋণ দেবে একাধিক কিস্তিতে। এই জন্য পাকিস্তানকে একাধিক শর্তও মানতে হবে। পাক সরকারকে খরচ কমাতে হবে। তাছাড়া জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি, কৃষি ও রিয়েল এস্টেটের মতো অপ্রচলিত খাতে কর বসানো এবং ভর্তুকি কমানোর শর্ত মেনে চলতে হবে। সমস্ত শর্ত মানলে তবেই প্রথম কিস্তির টাকা পাবে পাকিস্তান। সেই কারণেই পাকিস্তানকে সরকারি মন্ত্রক বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে অভিমত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন দেউলিয়া অবস্থা থেকে পাকিস্তান আদৌ উদ্ধার পায় কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।