Nuclear War: আমেরিকাকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি উত্তর কোরিয়ার, মদদ দিচ্ছে রাশিয়া?

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বিক্রম ব্যানার্জী: ফের আমেরিকাকে পারমানবিক যুদ্ধের(Nuclear War) হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আমেরিকার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া সহ অন্যান্য শত্রু দেশগুলিকেও পারমাণবিক হামলার(Nuclear War) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম জং। মূলত কোরীয় উপদ্বীপে তুমুল উত্তেজনা ও উস্কানী মূলক পদক্ষেপের নেপথ্যে আমেরিকাকে দায়ী করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান। বাইডেনের দেশকে কাঠগড়ায় তুলে কিম বলেন, কোরীয় উপদ্বীপ আজ পর্যন্ত কোনও দিনও এরকম ভয়াবহ ও বিপজ্জনক পারমাণবিক যুদ্ধের(Nuclear War) ঝুঁকির মুখে পড়েনি।

আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই কঠিন পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া! ইউক্রেনকে সাহায্য করে পুতিনের কাঠগড়ায় ব্রিটেন-আমেরিকা

বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ংয়ের এক সামরিক প্রদর্শনী মঞ্চ থেকে আমেরিকাকে নিশানায় এনে কিম জং উন বলেন, ‘ওয়াশিংটনের আক্রমণাত্মক ও শত্রুতা পূর্ণ নীতি বারংবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র তাদের কারণেই কোরীয় উপদ্বীপ আজ অশান্ত। গোটা এলাকা দ্বন্দ ধ্বংসাত্মক থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। বলা বাহুল্য,আমেরিকাকে পারমাণবিক হামলার হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার কাছে কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগে বেশ কয়েকবার সাময়িক অস্বস্তির জন্য আমেরিকা ও তার মিত্রশক্তিদের দায়ী করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং।

এই ঘটনার আগে গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কিম বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র আমেরিকা যদি পিয়ংইয়ংয়ের ভূখন্ডে আঘাত হানে সেক্ষেত্রে কোনও রকম দ্বিধা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে উত্তর কোরিয়া।’ কিম আরও বলেন, ‘শত্রুপক্ষ যদি তাদের সর্বভৌমত্বের আঘাত করে, সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করে তাদের ভয় দেখাতে চায় সেক্ষেত্রেও পারমাণবিক অস্ত্রের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে তাদের।’

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের হাজারতম দিন পেরিয়েও দুই দেশের সংঘর্ষ যেন আরও তীব্রতর হচ্ছে। শেষ কয়েক মাসের মেয়াদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেনকে একের পর এক অস্ত্র সাহায্য করার সিদ্ধান্ত এবং ঢাল হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে ব্রিটেনের বাঁচানোর চেষ্টা রাশিয়াকে আরও আক্রমণাত্মক করেছে। ফলত, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং তার পাল্টা জবাবে ইউক্রেনের প্রতি আক্রমণ বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতির আভাস দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

যদিও সেক্ষেত্রে বড়সড় কোনও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিলে ইউক্রেনের রক্ষাকারী হিসেবে দাঁড়াবে আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি। একইভাবে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে রাশিয়ার সঙ্গ নেবে চিন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মত দেশ। তবে সদ্য নির্বাচিত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বাইডেনের শাসনকাল শেষে রিপাবলিকান প্রার্থী ক্ষমতায় এলে আমেরিকাকে কতটা পাশে পাবে ইউক্রেন তা নিয়ে গভীর সংশয়ে রয়েছে।