Diabetes Disease: গোটা বিশ্বে 80 কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বিক্রম ব্যানার্জী: ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ মিলিয়ে প্রায় 80 কোটিরও বেশি মানুষ বিশেষত প্রাপ্তবয়স্করা ডায়াবেটিসের(Diabetes Disease) শিকার। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগের তুলনায় বর্তমানে দুই গুণ হারে বেড়েছে। এখানেই শেষ নয়, গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে একথা জানা সত্ত্বেও 30 বছর বয়সীদের মধ্যে তার চিকিৎসা করার কোনও ইচ্ছাই নেই।

ডায়াবেটিস মূলত এমন এক জটিল রোগ যা সাধারণত রক্তের শর্করার সঙ্গে সম্পর্কিত। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের চিকিৎসা না হলে হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে রক্তনালিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। ল্যানসেট সমীক্ষা মারফত জানা গিয়েছে, 2022 সালে সমগ্র বিশ্বে 18 বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রায় 83 লক্ষের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। তারা মূলত টাইপ-1 ও টাইপ-2 তে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO- এর পূর্বের হিসেব অনুযায়ী গোটা বিশ্বে।ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল 42 কোটি 20 লক্ষ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বছরের পর বছর ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 7 থেকে বেড়ে 14 শতাংশে পৌঁছেছে। তা সত্ত্বেও একটা বড় অংশের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা নিয়ে কোনও মাথা ব্যথাই নেই। বেশিরভাগ রোগীই এটিকে অতি সাধারণ রোগ হিসেবে মেনে নিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত রয়েছেন।

তবে উচ্চ বিত্তদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগটিকে চিহ্নিত করে তার চিকিৎসা করার হুজুক চোখে পড়েছে। ফলে তারা দ্রুত উন্নতি করছেন বলেই খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এনসিডি রিস্ক ফ্যাক্টর যৌথভাবে একটি বৃহৎ গবেষণা চালায়। যেখানে প্রায় 1 হাজারও বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ছিল ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা, তা বৃদ্ধির হার, চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্তি ও তাতে গাফিলতি।

আরও পড়ুন: ফের প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্য! ভাতা বন্ধ হওয়ায় চরম সঙ্কটে মাদ্রাসা শিক্ষকরা

উল্লেখ্য, গবেষকদের মতে, বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাই টাইপ-2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যার অন্যতম কারণ হিসেবে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ও অস্বাস্থ্যকর খাবারকে দায়ী করেছেন তারা। সেই সাথে গবেষকরা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যেখানে ফাস্টিং প্লাজমা গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয় মূলত সেখানেই অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় হয় না। তাই রোগ সনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে টাইপ-1 ও টাইপ-2 ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী, সেই উল্লেখ গবেষণায় নেই।