বিক্রম ব্যানার্জী: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে হারিয়ে জয়ের মুহূর্তে যথেষ্ট আবেগঘন বক্তব্যও দিতে দেখা গেছে তাকে। তবে তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট নেতা তথা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে(Joe Biden) ট্রাম্পের সাফল্যে সেভাবে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি সেই অপ্রাপ্তি ঘুচিয়েছেন বাইডেন নিজেই। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জয়কে অত্যন্ত ন্যায্য ও স্বচ্ছ বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীন অগ্রহণযোগ্য আচরণের কারণে আগামী দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হলেন জোসেফ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সাথে বাক্যালাপে বাইডেনের গলায় উঠে আসে ট্রাম্পের জয়ের সুর। এদিন বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্পের জয় অত্যন্ত ন্যায্য ও স্বচ্ছ এবং 20 জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে তিনি ক্ষমতায় বসবেন। সে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে, যেই ঘটনা মেনে নিয়েছেন তিনি।’ বাইডেন আরও জানান, ‘আমরা পরাজিত হয়েছি। জনগণের ইচ্ছাই সবসময়ে জেতে। বহুবার জানিয়েছি ক্ষমতায় এলেই যে দেশকে ভালবাসবেন তা হয় না। আবার সহমত থেকেও প্রতিবেশীকে ভালবাসাবেন সেটাও চলে না। আমরা হেরেছি ঠিকই কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে, সর্বোপরি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই হোয়াইট হাউসের সিংহাসনে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার আগেই প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলিতে কাদের বসানো যায় সেই নিয়েই চলছে জোড় পরিকল্পনা। মনে করা হচ্ছে, হোয়াইট হাউসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ করতে পারেন ট্রাম্প। যাদের মধ্যে নাম রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তথা ট্রাম্পের শুভাকাঙ্ক্ষী ইলন মাস্কেরও। এছাড়াও সূত্র বলছে, কয়েকজন রিপাবলিকান সেনেটরকেও মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে।