বিক্রম ব্যানার্জী: বাংলাদেশের অন্যতম হিন্দু নেতা চিন্ময় কুমার দাসকে নিয়ে একপ্রকার কাড়াকাড়ি চলছে ওপার বাংলায়। ইতিমধ্যেই তার গ্রেফতারির দাবিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক। এহেন আবহে বাংলাদেশে ইসকনকে(ISKCON Bangladesh) নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতেই হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় ঝেড়ে ফেলল ইসকন(ISKCON Bangladesh)। বৃহস্পতিবার ঢাকার স্বামীবাগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বহিষ্কৃত চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বাংলাদেশের সনাতনী সংগঠনের নেতা ওরফে ইসকনের সদস্যরা।
বাংলাদেশ ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানান, ‘বহু মাস আগেই প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ গৌর দাস ও সদস্য গৌরাঙ্গ দাসের সঙ্গেই চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইসকন সমাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সাথে পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়ে তাকে। তাদের দ্বারা যে কার্যক্রম সংঘটিত হয়েছে তার সাথে ইসকনের কোনও যোগ নেই।’
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরন জোটের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে ইসকনকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানোর চেষ্টা চলছে। মূলত চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুর পরই এই অপচেষ্টা চরমে উঠেছে। সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাবে জানাতে চাই, এই ধরনের নারকীয় ঘটনার সাথে বাংলাদেশের ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলিকেও ইসকনের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।’
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি ইসকনের কার্য নির্বাহী কমিটি তথা শিশু সুরক্ষা দলের সদস্য ঋষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘শিশুদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে সংগঠনের যাবতীয় কাজ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বিরত রাখা হয়েছিল। তবে সংগঠন যে নির্দেশ দিয়েছিল তা একেবারেই শোনেননি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।’ এই ঘটনার পরই নাকি তাকে পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন, ফুঁসছে মস্কো