বাংলাদেশে চাপে হিন্দুরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছেই (Durga Puja in Bangladesh)। দুর্গাপুজোর আগে, কিছু মন্দির বাংলাদেশে ইসলামিক গোষ্ঠীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে বলে খবর মিলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য কমিটি। ৬ সদস্যের একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। এই দল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে।
আরও পড়ুনঃ উলুবেড়িয়ায় বোমা বিস্ফোরণ, তদন্তের দাবি দিলীপ ঘোষের
মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় চট্টগ্রাম জেলার সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি কুশল চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের মনে ভয় আছে। আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ফরিদপুর, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। আমরা পুরোদমে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিচ্ছি, কিন্তু আমাদের মনে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।”
সাতক্ষীরা জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিবেকানন্দ রায় বলেন, “কিছু মৌলবাদী দুর্গা দেবীর মূর্তি ও প্যান্ডেল ভাঙচুর করেছেন। আমরা পূজার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, কিন্তু এই বছর মনে হচ্ছে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব উদযাপন করা কঠিন হতে পারে। কারণ সরকার নীরব দর্শক হয়ে আছে। পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না।”
ঠিক কী ঘটেছে
সূত্রের খবর, মন্দির কমিটিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে তাঁরা দুর্গাপুজো পালন করতে চাইলে, তাঁদের ৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে পুজো হতে দেওয়া যাবে না। একই সময়ে 22 সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীগঞ্জ জেলার রায়পুর এলাকায় মাদ্রাসার কয়েকজন লোক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করেন। বরগুনা জেলায়ও ভাংচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ চট্টগ্রাম ও খুলনার জেলা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ বলেন, খুলনা শহরের দাকোপ শহরের 25টিরও বেশি মন্দিরে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব পালনের জন্য 5 লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদেশ জারি করেছিল যে, দুর্গাপূজার সময় আজানের আগে এবং নামাজের সময় কোনও গান বাজানো যাবে না।