Durga Puja in London: নিম্নচাপ কেটে গিয়েছে বাংলায়! আকাশে শরতের মেঘ। শুরু হয়েছে পুজোর দিন গোনা৷ বাঙালি বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব এলেই মন আনচান করে ওঠে। কিন্তু পেশা, শিক্ষা সহ বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাংলা তো ছাড়ুন, দেশের বাইরে, প্রবাসে থিতু হয়েছেন। কিন্তু পুজোর টান, অমোঘ টান। যদিও দেশে ফেরা দুষ্কর। তাই সুদূর প্রবাসেই তাঁরা বছরের পর বছর ধরে উদযাপন করছেন বাঙালিয়ানা, করছেন দুর্গাপুজো। তেমনই এক পুজো লন্ডনের ক্যামডেনের পুজো।
ক্যামডেনকে প্রবাসী বাঙালিরা বলেন, লন্ডনের পুরাতন কলকাতা। ১৯৬৩ সালে লন্ডনের টেমসের ধারে সুইস স্কটিশ লাইব্রেরি, ক্যামডেন প্রাঙ্গণে কিছু প্রবাসী বাঙালির উদ্যোগে শুরু হয়েছিল দুর্গোৎসব। তারপর কেটে গিয়েছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ক্যামডেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা দেবীর আরাধনা চালিয়ে গিয়েছেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। এখন শুধুমাত্র লন্ডনের দুর্গাপুজো হয় প্রায় ৫০টি। গোটা ইউনাইটেড কিংডমে সংখ্যাটা প্রায় ৮০টি। এর মাঝে এসেছে অতিমারির প্রকোপ। করোনা বিধিনিষেধে কোপ পড়েছে পুজোর রীতিনীতিতে৷ পুজো ছোট করা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ হয়নি। বিগত বছর সেই সব বিধিনিষেধ অতিক্রান্ত হয়ে ফের বড় করে পুজো হয়েছে৷ এই বছরও পুনরায় কোমর বাঁধছেন লন্ডনের বাঙালিরা।
যত সময় গিয়েছে, লন্ডনে বাঙালির সংখ্যা বেড়েছে৷ এখন অনেক জায়গাতেই দুর্গাপুজো হয়। শুধুমাত্র বাঙালিরা নয়, ভারতের সব প্রদেশ থেকে যাওয়া প্রবাসীরা এই উৎসবে অংশ নেন। কিন্তু লন্ডনের বাঙালিদের কাছে ক্যামডেন প্রাঙ্গণের পুজোর ঐতিহ্য অমলিন। রীতি মেনে টেমস নদীর তীরে প্রতিবছর খুঁটিপুজো করে ক্যামডেন পুজো কমিটি। সুইস স্কটিশ লাইব্রেরির মণ্ডপে ষষ্ঠীর দিন হয় বোধন। তারপর বরণ, অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, কুমারী পুজো অবশেষে মায়ের বিসর্জন সমস্ত কিছুই হয় রীতি মেনে। প্রবাসীরা বাঙালিরা শাড়ি ও ধুতি পাঞ্জাবিতে সেজে ভীড় করেন মন্ডপে। খাওয়া-দাওয়া ও জমাটি আড্ডার আসরের সঙ্গে পরিবেশিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর কয়দিন লন্ডনে উঠে আসে বঙ্গের সুবাস।
পুজো হবে এই বছরও। সুইস স্কটিশ লাইব্রেরির মণ্ডপে হবে মাতৃ আরাধনা। লন্ডনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ষষ্ঠীর পুজো ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৬:৩০ থেকে রাত ১০ টা। সপ্তমী ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৫:৩০ থেকে সন্ধ্যা ০৭:০০ টা। অষ্টমী ১২ অক্টোবর বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা। নবমী ও দশমী একই দিনে, ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৫:৩০ থেকে ০৭:৩০ পর্যন্ত।