বিক্রম ব্যানার্জী: অক্টোবরের শেষে ব্রিকসের আলোচনায় আমেরিকার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে নিজেদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমেরিকান ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রা চালু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ভারত, চিন, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ ব্রিকসের 9টি দেশ। এবার সেই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করলেন আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। ব্রিকসের আলোচনাকে কাঠগড়ায় এনে ভারত, রাশিয়া, চিনসহ অন্যান্য দেশগুলিকে কড়া সতর্কবাণী দিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা(Donald Trump)।
ব্রিকসের আলোচনায় বিভিন্ন দেশগুলির সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করে তাদের ওপর ভারী শুল্ক আরোপের আভাস দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশঙ্কা করা হচ্ছে, 20 জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের সিংহাসনে ক্ষমতা দখলের পরই শুল্ক যুদ্ধের নয়া তরঙ্গ দেখতে হবে গোটা বিশ্বকে। অধিকাংশেরই ধারণা ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির ওপর 100 শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এই ঘটনা তখনই ঘটবে যখন ভারতসহ রাশিয়া, চিন ও ব্রাজিলের মত দেশগুলি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমেরিকান ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও মুদ্রাকে বেছে নেবে।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্রিকসের দেশগুলি আমাদের পাশে থেকেও ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা করছে, এই ধারণা এখন শেষ হয়েছে। দেশগুলির থেকে আমাদের একটি প্রতিশ্রুতি দরকার যে, তারা আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না। শক্তিধরদের প্রতিস্থাপনের জন্য অন্য কোনও মুদ্রা ফিরিয়ে দেবে না। আমেরিকান ডলারের বদলে অন্য কোনও মুদ্রা ব্যবহার করলে দেশগুলিকে 100 শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে।
ট্রাম্প মনে করছেন আমেরিকান ডলারের ব্যবহার বন্ধ করে ব্রিকসের দেশগুলি অন্য একটি মুদ্রা তৈরি করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারকে অন্য মুদ্রায় প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে না। কেননা দেশগুলি চেষ্টা করবে আমেরিকাকে বিদায় জানাতে। আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রতিবার শুল্ক পরিকল্পনা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও আমেরিকার অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকা সাধারণত শুল্ক চার্জ করে না। এই প্রক্রিয়া তিনিই শুরু করেছিলেন। কিন্তু চিন আমেরিকার ওপর 200 শতাংশ শুল্ক চাপায়। এছাড়াও ব্রাজিল থেকে শুরু করে ভারত সকলেই আমাদের ওপর শুল্ক চার্জ করে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক চার্জ করে ভারত। বিভিন্ন উপায়ে তারা চিনের থেকেও বেশি শুল্ক নেয়। ভারত বোঝায় তারা খুব অল্প চার্জ করছে। কিন্তু তার পরিমাণ অনেকটাই। এই কাজ তারা হাসিমুখেই করে থাকে।