বিক্রম ব্যানার্জী: রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান সংঘর্ষে বন্ধ করতে এবার হাত বাড়ালেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। গতকাল অর্থাৎ শনিবারের খবর অনুযায়ী 9 নভেম্বর পর্যন্ত বিগত 24 ঘন্টায় কুরস্ক সীমান্তে প্রায় 300 ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণ নিয়েছিল রাশিয়া। সেই সাথে ইউক্রেনের একাধিক যুদ্ধযান ও অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। ফলত এই হিংসা থামাতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন সেনাদের মধ্যে একটি 800 মাইল সুদীর্ঘ বাফার জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে সীমারেখা তৈরির কাজ করবে ব্রিটেন ও ইউরোপের সামরিক বাহিনী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাইডেন ইউক্রেনকে হাত খুলে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য করলেও সেই চেনা পথে পা বাড়াতে চান না রিপাবলিকান নেতা তথা সদ্য নিযুক্ত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে শুধুমাত্র মার্কিন সহায়তা দিয়ে আসল সমস্যার সমাধান হবে না। মনে করা হচ্ছে তার বদলে দুই দেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে 800 মাইলের বাফার জোন তৈরি করে রাশিয়া ও ইউক্রেন সেনাদের হিংসা কিছুটা হলেও দমানো যাবে। সেক্ষেত্রে ইউক্রেন আগামী 20 বছরের জন্য ন্যাটোতে যোগদান করতে পারবে না। তার বিনিময়ে রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেন অঞ্চল জুড়ে তৈরি হবে সমাধানকারী বাফার জোন। এমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা থেকে আরও জানা যায়, যেহেতু ইউক্রেন আগামী দীর্ঘ সময় ধরে ন্যাটোতে যুক্ত হতে পারবেনা সেক্ষেত্রে জেলেন্সকির দেশকে যাবতীয় অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে আমেরিকা। যাতে কঠিন সময়ে রাশিয়ার অগ্রাসন ও সামরিক আক্রমণকে প্রতিহত করা যায়। জানিয়ে রাখা ভাল, প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেও ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার তরফে কোনও রকম অর্থ সাহায্য পাবে না ইউক্রেন। একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের মাটিতে মার্কিন সেনা পাঠাতেও গড়রাজি ট্রাম্প। যেহেতু রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক চুক্তির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প।তাই সার্বিক দিক থেকে ইউক্রেনকে সাহায্য করে রাশিয়ার বিরোধিতার পক্ষপাতী নন তিনি। যদিও ট্রাম্পের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ব্রায়ান লানজা জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি না জানিয়ে দুই দেশের শান্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত আমেরিকার।’