বিক্রম ব্যানার্জী: ইজরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে সুর চড়ালেন আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। গাজা যুদ্ধের ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প(Donald Trump)। তার দাবি না মানলে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইজরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নিজের সমাজ মাধ্যম হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লেখেন,’আগামী 20 জানুয়ারির আগে বন্দি থাকা জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যেকে চরম মূল্য দিতে হবে। যারা এই অমানবিক অপরাধ গুলি সংঘটিত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব বন্দিদের এখনই মুক্তি দাও!’
বলা বাহুল্য, বিগত প্রায় 15 মাসে ইজরায়েলকে হাত খুলে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছে আমেরিকা। এই সময়ের মধ্যে বহুবার যুদ্ধ বিরতির চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন শেষ সময়ের প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে বাইডেনের শাসনকালে ইজরায়েলকে যেভাবে অস্ত্র সাহায্য করছে আমেরিকা, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস দখলের পর সেই চিত্রটা অনেকটাই বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেননা, আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান নেতা বারংবার যুদ্ধ বন্ধের দিকে জোর দিয়েছেন। তার প্রতিটি বক্তব্যের মধ্যে থেকে সংঘাতের তীব্রতা বাড়ানো নয় বরং তা কমানোর আভাসই পেয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম বলে আসছেন, ‘তিনি ক্ষমতায় থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে এই যুদ্ধ হত না।’
ফলত, বর্তমানে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্পের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন অনেকে। অনেকেই মনে করছেন রিপাবলিকান নেতা ক্ষমতায় আসার পরই গাজা যুদ্ধের ইতি টানতে পারে ইজরায়েল। যদিও ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই ইজরাইলঘনিষ্ঠ এবং ফিলিস্তিনবিদ্বেষী।