বিক্রম ব্যানার্জী: বঙ্গোপসাগরে ওপার বাংলার সমুদ্রসীমা থেকে বাংলাদেশের(Bangladesh) দুটি মাছ ধরার জাহাজ ও 79 জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে আসে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এমনটাই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের(Bangladesh) বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে। এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরে ভারতের তরফে বাংলাদেশি নাবিকদের আটক করা হয়। শুধু তাই নয়, সেই তথ্য নাকি জানিয়েছে স্বয়ং ট্রলার দুটির মালিক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের তরফে বাংলাদেশের যে দুটি সামুদ্রিক জাহাজ অপহরণ করা হয়েছে সেগুলি হলো, এফভি মেঘনা-5 এবং এলভি লায়লা-2। এই দুই জাহাজের মালিক যথাক্রমে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং এসআর ফিশিং। জাহাজ দুটির মালিকপক্ষের তরফে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য ও অধিদফতরের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এফভি মেঘনা-5 জাহাজটির মালিক সংস্থা সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনসারুল হক বলেন, জাহাজের নাবিকরা নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুই জাহাজ মিলিয়ে মোট 37 জন নাবিক এবং 42 জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারত।
প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে কেন বাংলাদেশের জাহাজ ও নাবিকদের আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। এমনকি বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী এই ধরনের জাহাজ অপহরণের ঘটনায় আদেও ভারতের হাত রয়েছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের নৌপরিবহন অধি দফতরের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিলেছে। যদিও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ জানান, এই ঘটনা মিডিয়ার দৌলতে কানে এসেছে তাঁর। তাছাড়া এই প্রসঙ্গে কোনও অভিযোগ বা চিঠি কিছুই পাননি তিনি।