বিক্রম ব্যানার্জী: উত্তপ্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পরিস্থিতি ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য! প্রতিনিয়ত সেদেশে হিন্দুদের ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার, ভাঙা হচ্ছে মন্দির, জোরপূর্বক সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল করে নিচ্ছেন দুর্বৃত্তরা, এমনই সব ভয়ংকর অভিযোগ ভেসে আসছে ওপার বাংলা থেকে। সেই সাথে বাংলাদেশের আকাশে ঘনাচ্ছে ভারত বিদ্বেষী মেঘ। কঠিন সময়ের সঙ্গী ভারতকে উদ্দেশ্য করে নানান কুমন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের অমানবিক জনগণদের একাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু সুরক্ষার ওপর জোর দিয়েছে আমেরিকা(America)।
বৃহস্পতিবার বাইডেনের হোয়াইট হাউসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচার নিয়ে মুখ খোলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি। তার মতে, বাংলাদেশের মাটিতে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, তা কখনই ঠিক নয়। সে দেশে হিন্দুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এদিন কারবির গলায় এমন কথাই শোনা যায় সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে। করবিকে উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
প্রথম প্রশ্নে ওই সাংবাদিক জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা এবং সংখ্যালঘুদের মন্দির ভাংচুরের অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে আমেরিকার হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, বিষয়টি কি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানেন? প্রত্যুত্তরে কারবি বলেন, ‘আমরা খুব, খুব, খুবই নিবিড়ভাবে এগুলি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও বিষয়গুলিতে নজর রাখছেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সেদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ ও সেনা বাহিনীদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছি।’
সাংবাদিকের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে তাঁর বন্ধু এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি কি এই বিষয়টি তুলেছিলেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জন কারবি জানান, ‘বাংলাদেশি নেতাদের সাথে আলোচনার সময় আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছি যে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন। তবে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।’