America: ইরানের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল আমেরিকা! নিষিদ্ধ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও জাহাজ

Last Updated:

বিক্রম ব্যানার্জী: বাইডেনের শেষ প্রেসিডেন্ট মেয়াদে ইজরায়েলের পাশে ডাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা(America)। দেশটিকে হাত খুলে অস্ত্র সাহায্য করার পাশাপাশি তার বিরোধীদের প্রতিমুহূর্তে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইজরায়েল শুভাকাঙ্ক্ষী (America)। এহেন আবহে ইজরায়েল শত্রু ইরানের ওপর বড়সড় নিষেধাজ্ঞ আরোপ করল আমেরিকা(America)। সূত্রের খবর, পেজেশকিয়ানের দেশটির কমপক্ষে 35 টি প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে কড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার(America) দাবি, এই ইরানি প্রতিষ্ঠান ও জাহাজগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আমেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, গতমাসে ইজরায়েলের ওপর ভয়াবহ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পরমাণু কর্মসূচি সম্প্রসারণের জবাবে আগেই ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আমেরিকার সরকার। সেই পথ ধরেই পুনরায় ইরানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথ নাকি বন্ধ করতে মরিয়া বাইডেনের দেশ। এ বিষয়ে আমেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্রেটারি স্মিথ জানান, ইরান পেট্রোলিয়াম বানিজ্য থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে সেগুলিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়ন, মিসাইল তৈরি ও ড্রোন প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যবহার করছে। যা আগামী দিনে ইজরায়েলের জন্য যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

বন্ধু দেশ ইজরায়েলের ওপর যাতে কোনও রকম আঘাত না আসে সেই কারণেই ইরানের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। যার ফলে ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য বর্তমানে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায়। আমেরিকার এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে ইরানের অর্থনৈতিক বাজার যে একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়বে একথা বলাই যায়। যদিও ইরানের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, জ্বালানি যুদ্ধ শুরু হলে গোটা বিশ্ব প্রতিদিন প্রায় 1 কোটি 20 লাখ ব্যারেল তেল থেকে বঞ্চিত থাকবে।

আরও পড়ুন: শাস্তির দ্বিতীয় দিনেই অকালি নেতার ওপর চলল গুলি, চাঞ্চল্য স্বর্ণমন্দিরে