বিক্রম ব্যানার্জী: প্রায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হিজবুল্লাহের সামরিক ঘাঁটি লেবানন ও গাজায় পরপর আঘাত হানছে ইজারেয়েল। যার জেরে প্রাণ গেছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইজারেয়েলি হামলায় গত কয়েক মাসে গাজায় নিহতদের(Gaza Death) মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। যেই তথ্য একপ্রকার নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সু-মনোভাবাপন্ন মানবিক ব্যক্তিদের।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান! নিহত 21
গাজায় অকল্পনীয় ইজরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ইজরায়েল সেনা মূলত গাঁজার ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা গুলিকে টার্গেট করছে এবং সেখানেই আক্রমণ শানচ্ছে। প্রতিবেদন বলছে, গাজায় হওয়া ইজারায়েলি হামলায় একটা বড় অংশের মানুষের প্রাণ গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের মধ্যে প্রায় 70 শতাংশই ছিল নারী ও শিশু। গাজা উপত্যকায় হামলার ক্ষেত্রে বারংবার ইজরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য ইজারেলকে কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি বেশ কিছু ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন গুলির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও সেক্ষেত্রে সার্বিক দিক থেকে বিচার করে গাজায় ভয়াবহ নিশংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ইজরায়েলের হাত ধরে। সূত্র বলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সবমিলিয়ে গাজায় নিহতদের সংখ্যা 8 হাজার 120। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কার্যালয়ের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ইজরায়েল সহ অন্যান্য শত্রুপক্ষের দাঁতভাঙা হামলায় গাজার বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে 44 শতাংশ শিশু ও 26 শতাংশ নারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিগত 6 মাসে নানান হামলায় গাজায় মৃত শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স 5 থেকে 9 বছরের মধ্যে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃতদের প্রায় 80 শতাংশের নিজ বাসস্থান কিংবা আবাসিক ভবনের ওপর হামলা চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে প্রকাশিত এক তথ্যের হিসাব থেকে জানা যায়, গত 1 বছরেরও বেশি সময়ে ইজরায়েলসহ অন্যান্য বিরোধী গোষ্ঠীর হামলা গাজায় 43 হাজার 300 জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে।