গ্লোবাল জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের মতে, মহিলারা এতটাই শক্তিশালী যে তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে পারে। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, সামাজিক সমস্যা হোক বা ঘরোয়া সমস্যা
কিন্তু সমাজের কিছু অংশ আছে যেখানে ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে শেখানো হয়। মেয়েরাও অন্যের সামনে নিজেকে দুর্বল মনে করে। আজকের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মেয়েদের উচিত এই চিন্তা ও আচরণ থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের সক্ষম করে তোলা।
মহিলারা নিজেদের রক্ষা করতে, মনে রাখবেন 7টি নিরাপত্তা টিপস
1) মানসিকভাবে শক্তিশালী হন। নিজের আত্মরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন।
2) অজানা জায়গায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার লোকেশন শেয়ার করুন।
3) ক্যাবে ভ্রমণ করার সময়, ক্যাব চালকের গাড়ির নম্বর এবং অন্যান্য বিবরণ আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করুন।
আরও পড়ুনঃ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছেন এই ২ মহিলা, দেবীপক্ষের আগে পড়ুন
4) অন্ধকার রাস্তায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
5) আপনি যেখানেই যান না কেন, সবসময় আপনার মোবাইলকে ফুল চার্জ করে রাখুন।
6) ড্রাইভার যদি আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যায়, তাঁকে থামান এবং অবিলম্বে পুলিশের সাহায্য নিন।
7) প্রতিটি মেয়ে এবং মহিলাকে আত্মরক্ষার জন্য হাত এবং পায়ের নড়াচড়া শিখতে হবে।
যদি কেউ পাবলিক প্লেসে বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কাউকে শ্লীলতাহানি বা যৌন হয়রানির চেষ্টা করে, তাহলে মেয়েদের এই বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত-
এমন পরিস্থিতিতে মোটেও আতঙ্কিত হবেন না। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন। হয়ত আপনার কর্মের মাধ্যমে মেয়েরা ভবিষ্যতে এই অপমান থেকে রক্ষা পেতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি দু’ টি উপায়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন-
সামাজিক কর্ম: আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, অবিলম্বে আওয়াজ করুন, লোকজনকে জড়ো করুন এবং এইভাবে সমাজের সাহায্য নিন।
আইনি পদক্ষেপ: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 354 ধারার অধীনে একটি মেয়েকে তাড়ানো, তাঁর শ্লীলতাহানি, নোংরা কাজ করা, পর্নো ভিডিও দেখানোর জন্য মামলা দায়ের করা যেতে পারে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শাস্তিরও বিধান রয়েছে।