বিক্রম ব্যানার্জী: অনেকে বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির রক্ষক! কেউ বলেন রাজনীতিতে তাঁর মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি দ্বিতীয় নেই। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে উপস্থিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অসংখ্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পেয়েছেন রাজনীতির চাণক্য তকমাও। কেননা, এমনটাও দেখা গিয়েছে, সাংবাদিকদের দাঁতভাঙ্গা প্রশ্নে জবাবে নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর দিয়েছেন শুধুই শাহ। তাই এবার চাণক্য তকমার পর বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের(Varun Dhawan) কন্ঠে হনুমান ডাক শুনলেন অমিত।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার তারিফ করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হনুমান আখ্যা দিলেন অভিনেতা বরুণ। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় অভিনেতার আসন্ন ছবি বেবি জনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতও। নানান আলোচনার মাঝে রাম ও রাবণের প্রসঙ্গ ওঠে হঠাৎই। দুই মহারথীর প্রসঙ্গ উঠতেই অমিতের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বসেন বরুণ। বলেন, রাম ও রাবণের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাম নিজের দায়িত্ববোধে অটল। কিন্তু রাবণ নিজের সুবিধা ও নিজের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এহেন উত্তর শুনে আপ্লুত হয়ে অভিনেতা বলেন, মানুষ আপনাকে রাজনীতির চাণক্য বলে। কিন্তু আমি আজ থেকে আপনাকে দেশের হনুমান বলব। কারণ, দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন আপনি। সব সময়ে দেশের জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে এসেছেন। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা সংলাপ মুখস্ত করেও তা স্পষ্ট ভাবে বলতে পারেন না। কিন্তু আপনি কত সহজে স্পষ্ট উত্তর দিলেন। এর থেকেই বোঝা যায়, কথাটা আপনি মন থেকেই বললেন।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা বরুন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাক্য বিনিময়ের দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে গিয়েছে। রাজনীতি বাদ দিয়ে অনেকেই বলিউড তারকার প্রশংসায় সরব হয়েছেন। তবে থেমে থাকেননি সমালোচকরাও। রাজনীতির রঙ মাখিয়ে নানান বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। তাদের মধ্যে অনেকের কথাতেই উঠে এসেছে বরুণ ধাওয়ানের স্বার্থসিদ্ধির প্রসঙ্গ। অনেকেই বলছেন, মূলত ছবির প্রচারের জন্যই এই মন্তব্য করেছেন অভিনেতা। আসলে সকলের নজর কাড়তে চেয়েছেন তিনি!
Live-In Relationship: লিভইন সম্পর্ক মানেই শুধু যৌন খিদে মেটানো, মনে জমে থাকা বারুদ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী