উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছিলেন একজন গৃহবধূ। সেই জন্য তাঁকে ‘তালাক’ দিলেন স্বামী। সহ্য করতে হল পরিবারের সদস্যদের শারীরিক নির্যাতন। এমনই অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বহরাইচের বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে অযোধ্যার বাসিন্দা আরশাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। সম্প্রতি অযোধ্যা শহরের উন্নয়নের জন্য মোদী এবং যোগীর প্রশংসা করেছিলেন তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকজন বিজেপির ঘোরতর বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করায় স্বামী, শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ঐ বধূর। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামী তিন তালাক উচ্চারণ করে বিবাহবিচ্ছেদও করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুসলিম সমাজে তিনবার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে বিবাহবিচ্ছেদ প্রচলিত ছিল। ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট এই প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রথায় মুসলিম মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। তারপর থেকেই তিন তালাকের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ ভারতে বেআইনি। অযোধ্যার অভিযুক্ত ঐ যুবক এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। পণপ্রথা বিরোধী আইন ও মুসলিম মহিলা সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারিণী মহিলার বয়ান রেকর্ড করে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।