একদিনের মাথায় বাতিল করা হল ইউজিসি-নেট (UGC NET) পরীক্ষা। চলতি মাসের ১৮ তারিখ, বুধবার নির্ধারিত সময় অনুসারে পরীক্ষা নেওয়া হলেও পরেরদিন রাতেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হল, পরীক্ষাটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে একটি নতুন পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। তবে নির্দিষ্ট কোন তারিখ এখনও অবধি জানানো হয়নি।
নিট পরীক্ষার পর এবার নেট পরীক্ষাতেও উঠলো অস্বচ্ছতার অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষায় ক্রুটি নিয়ে খবর পৌঁছায় এবং তারপরেই শিক্ষামন্ত্রক পরীক্ষাটি বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইউজিসি-নেটের আয়োজন সংস্থা এনটিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষায় কিছু অনিয়ম সংক্রান্ত ক্রুটি থাকায়, স্বচ্ছতার কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আয়োজক সংস্থার তরফ থেকে আরও জানানো হয়, যে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তদন্ত ভার দেওয়া হবে সিবিআইকে।
আরও পড়ুনঃ বাঙালির বিধি বাম – কলমে শুভময় মৈত্র
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেরদিনই নেট পরীক্ষা আয়োজনের ‘সাফল্য’ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিএ। মঙ্গলবার এনটিএয়ের তরফে জানানো হয়, এবার নেট পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ১১,২১,২২৫ জন এবং পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯,০৮,৫৮০ জন। নিয়ম মেনে দুটো শিফটেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয় সেদিন। নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হয় ওএমআর সিটে।
পরীক্ষা বাতিলের খবর ছড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। তারা প্রশ্ন তোলেন, নিট পরীক্ষার জালিয়াতির পরেও নেট পরীক্ষা নিয়ে কেন এনটিএ অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেনি? অনেকে অভিযোগ করেন, ১৮ই জুন পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা একেবারেই সঠিক ছিল না। তবে নেট নিয়ে অভিযোগ এই প্রথম নয়। কোভিড চলাকালীন বছরে দু’বার পরীক্ষার বদলে একবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তবে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম। একই বছরে পরপর দু’বার দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই গাফিলতির দায় আসলে কার; সেই নিয়েও যে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে মানুষের মনে, তা আর বলার অবকাশ রাখে না।