বিক্রম ব্যানার্জী: 14 বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ(Raping) করতে গিয়ে মৃত্যু হল যুবকের। ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের একটি হোটেল। জানা যায়, কিশোরী যেই কারখানায় কাজ করতেন সেই কারখানার ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন ওই যুবক। দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীর পরিবারের সাথেও সুসম্পর্ক ছিল তার। পুলিশ সূত্রে খবর, অল্প বয়সী কিশোরীর পরিবারকে নানানভাবে অর্থ সাহায্য করতেন তিনি। মেয়েটির বাবা অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার খরচও বহন করতেন ওই ম্যানেজার।
আরও পড়ুন: এই 3 কারণে প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে কমলার!
সূত্রের খবর, কিশোরীর বাবার চিকিৎসার খরচ বহন করার পাশাপাশি বেকার ভাইয়ের হাত খরচও যোগাতেন ওই ব্যক্তি। একই সাথে কিশোরীকেও নানান পছন্দের জিনিস কিনে দিতেন তিনি। আর এই অর্থের প্রলোভন দেখিয়েই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকমেইল করেছেন তার ম্যানেজার। সূত্র বলছে, যুবকের কথামতো না চললে পরিবারে অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো 14 অনূর্ধ্ব কিশোরীকে। অন্যদিকে মেয়েটির পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক থাকার দৌলতে কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিলেন যুবক।
ফলত, মেয়েকে ওই যুবকের সাথে ছাড়তে এক ফোঁটাও দ্বিধাবোধ করতেন না বাবা-মা। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই গত 29 সেপ্টেম্বর কিশোরীকে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে নিয়ে যান ওই যুবক। রুমে ঢুকেই মেয়েটির উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করেন তিনি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় তার জন্য জাল আইডি কার্ডও বানিয়েছিলেন ঐ ব্যক্তি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরীকে রুমে নিয়ে গিয়ে নানানভাবে নির্যাতন করেছেন যুবক। এরপরই তাকে কাছে টেনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। মেয়েটির ওপর চড়াও হতে গিয়ে আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, যৌন উত্তেজনাবর্ধক কোনও ওষুধ খেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে তার।