রাজীব ঘোষ: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের(RSS) শতবর্ষ হচ্ছে আগামী বছর। আর তার আগেই কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে সরকারি কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগদান করতে পারবেন। যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আগে, নরেন্দ্র মোদির সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার আরএসএস এর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কোনো সরকারি কর্মচারী এই জাতীয়তাবাদী সংগঠনে যোগদান করতে পারতেন না। সেই সময় আরএসএসের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক কর্মকান্ডের কারণে ইন্দিরা গান্ধী ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর আরএসএসের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে সরকারি কর্মচারীদের যোগদান নিষেধ ছিল।
আরও পড়ুনঃ টাকা বাড়বে লাফিয়ে! জানুন একাধিক এসবিআই স্কিম
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এবার থেকে যেকোনো সরকারি কর্মচারী ইচ্ছে থাকলেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য হতে পারবেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি অবসর নেওয়ার সময় জানান, তিনি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে আরএসএস করতেন। এবার অবসর নেওয়ার পরে ফের তিনি সংঘের কাজকর্মে যুক্ত হবেন। তবে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, গান্ধী হত্যার পর আরএসএসের ওপরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী আরএসএসের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারও সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় নি। তাহলে নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। তবে আগামী বছর যেহেতু সংঘের শতবর্ষ তাই তার আগেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব যথেষ্ট খুশি হয়েছেন। প্রত্যাহারের খবরটি জানিয়েছেন বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য। ফলে এখন থেকে সরকারি কর্মচারীরা সংঘের কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।