আম বাঙালির কাছে বেড়ানোর অন্যতম জায়গা হল সিকিম (Sikkim)। তবে গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে রীতিমত বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই দক্ষিণবঙ্গের ভরা গরমে পর্যটকরা সিকিম যাবেন কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করতে পারেন।
উত্তর সিকিমের পর্যটকদের প্রিয় লাচুং, লাচেনে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। বেইলি সেতু বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে গেছে। গতবছর বন্যায় এই ব্রিজটি ভেঙে গিয়েছিল। তারপর নতুন করে তা বানানো হয়। সেই ব্রিজও বন্যায় ভেঙে গেলো। বহু রাস্তা ধস নেমে বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বাড়ি ভেঙে গেছে। এই জায়গাগুলি দেশের বাকি এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ্
জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, দেড় হাজারের বেশি পর্যটক বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। তাদের সেই সব জায়গায় এখন থাকতে বলা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা খুললে এবং গাড়ি চলাচল শুরু হলে তারা নামতে পারবেন।
মঙ্গনের জেলাশাসক জানিয়েছেন, অম্ভিথাং এবং পাকশেপ গ্রামে তিনজন করে মোট ছয়জন মারা গেছেন। প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকশেপে একটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অফিসের বন্ধু বা নতুন ভাড়াটে আসলে কোন এলিয়েন নয়তো?
আগামী দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। বুধবার গ্যাংটকে ৬১, গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাভাংলাতে হয়েছে ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। মঙ্গন জেলাতে হয়েছে ২২০ মিলিমিটার।
বর্ষার শুরুতেই সিকিমের এই বিপর্যয়ের আঁচ এসে লেগেছে পশ্চিম বঙ্গের উত্তরাঞ্চলে। তিস্তার জলস্তর বেড়েছে। সরস্বতীপুর থেকে গজলডোবা, দোমোহানির সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।