রাজীব ঘোষ: তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট(Budget) পেশ করেছে মোদি সরকার(Modi Government)। সংসদে চলছে সেই বাজেট অধিবেশনের(Budget Session) উপরে জবাবি ভাষণ। বাজেট অধিবেশনে আলোচনা অংশগ্রহণ করছেন একাধিক সাংসদ এবং দলীয় নেতারা। সোমবার বাজেটের(Budget) জবাবি ভাষণে কংগ্রেস সাংসদ এবং দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। সেখানে তিনি এই বাজেট প্রসঙ্গে মোদি সরকারের দেশের মানুষকে পিছন থেকে ছুরি মারার কথার উল্লেখ করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। লোকসভার বিশেষ অধিবেশনেও Rahul Gandhi আক্রমণাত্মক ছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, মোদি সরকার সারাদেশ জুড়ে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। তারপরই বিভিন্ন ধর্মগুরুদের ছবি সংসদে নিয়ে দেখিয়ে বলেছেন, প্রত্যেকেই এখানে অভয় মুদ্রা দেখাচ্ছেন। আর এটাই কংগ্রেসের প্রতীক। অহিংসার পক্ষে কংগ্রেসের লড়াই এর আগেও জারি ছিল, বর্তমানেও রয়েছে, আগামীতেও তাই থাকবে।
আর বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল বলেন, এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বুকে পিঠে ছুরি মেরেছে মোদি সরকার। দেশ একেবারে পদ্মের চক্রব্যূহে আটকে গিয়েছে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে সরকার দেখা করতে রাজি নয়। বিজেপির শাসনে সবাই বিরক্ত হয়ে উঠেছে। আর এরপরেই বলেন, যদি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে কৃষকদের জন্য এমএসপি বিল আনা হবে।
আরও পড়ুনঃ আরো একটি বৃহৎ ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পথে, অ্যাকাউন্ট থাকলে কি করবেন?
বাজেটের জবাবি ভাষণে এখানেই থামেন নি রাহুল। তিনি নিট দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন। সেখানে সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে বলেন, বিগত ১০ বছরের মধ্যে ৭০ বার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এরপরেই মহাভারতের একটি গল্পের উদ্ধৃতি দেন রাহুল গান্ধী। সেখানে বলেন, অভিমন্যুকে চক্রব্যূহে ছয় জন মিলে আটকে মেরে ফেলেছিল। কিছুটা চক্রব্যূহ নিয়ে আমি গবেষণা করেছি। সেখানে দেখেছি চক্রব্যূহ আসলে পদ্মের মতো দেখতে হয়।
সেখানে ভয় থাকে। যেমন গোটা দেশ এখন ভয়ে রয়েছে। এমনকি বিজেপি নেতারাও ভয়ে রয়েছেন, আমি জানি। অভিমন্যুর সাথে যা হয়েছিল দেশের মানুষের সঙ্গে এখন মোদি সরকার তাই করছে। এখন মাত্র ছয় জন মিলে ভারত বর্ষ চালাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, মোহন ভাগবত, আদানি আর আম্বানি, রাহুল এইভাবে সরকারকে নিশানা করায় তার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে লোকসভায় উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।