রাজীব ঘোষ: বেড়াতে গিয়ে এ কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হলো পর্যটকদের? একেবারে অর্ধনগ্ন অবস্থায় অন্তর্বাস পরেই ছুটতে হলো পুলিশের কাছে। ঘটনাটি ঠিক কি? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল(Viral Video) হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঝর্ণার জলে স্নান করার জন্য পর্যটকরা জামা কাপড় খুলে একটি বড় পাথরের উপরে রেখে জলপ্রপাতে নামছেন। আর পুলিশ এসে সেই জামাকাপড় চুরি করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তারপরেই পর্যটকরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় অন্তর্বাস পরেই পুলিশের(Police) কাছে ছুটে গেলেন।
ঘটনাটি কর্ণাটক রাজ্যের মুদিগেরের চরমাদি জলপ্রপাত এলাকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি বর্ষার মরশুমে কর্ণাটক রাজ্যের সমস্ত জলপ্রপাতগুলিতে পর্যটকদের যাওয়া এবং স্নান করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্ষায় পাহাড় থেকে ধস নামা, রাস্তা ভেঙ্গে নদীতে ভেসে যাওয়া এবং এই জলপ্রপাতগুলিতে হড়পা বানের কারণে পর্যটকদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই কর্ণাটক রাজ্যের পুলিশের তরফে এই জলপ্রপাতগুলির বাইরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, জলপ্রপাতগুলিতে পর্যটকদের যাওয়া এবং স্নান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ জ্বলছে বাংলাদেশ, ক্রমেই তীব্র হচ্ছে ছাত্র আন্দোলন
কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, পর্যটকরা ওই সমস্ত জলপ্রপাতগুলিতে রীতিমতো গিয়ে স্নান করতে নেমে পড়ছেন। আর সেই কারণেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে কর্ণাটক রাজ্যের চিকমাগালুর ডিভিশনের পুলিশ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীরা পর্যটকরা ঝর্ণার জলে স্নান করতে নামতেই তাদের জামাকাপড় নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর তারপর অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় পর্যটকরা পুলিশের কাছে গিয়ে জামা কাপড় দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। তবে পুলিশের তরফে সতর্ক করে ওই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। জামা কাপড় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে বর্ষার মরশুমে কর্নাটকের সমস্ত ঝর্ণাগুলিতে যাওয়া এবং স্নান করা নিষেধ। আর এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকরা রঙ্গ রসিকতা করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, আধুনিক সমস্যার আধুনিক সমাধান.. আবার কাউকে লিখতে দেখা গিয়েছে, এভাবে পুলিশ জামা কাপড় চুরি করলে ভবিষ্যতে নিলাম করতে পারে! যদিও ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ। তবুও পুলিশের এই পন্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রঙ্গ রসিকতাও চলছে।
দেখুন সেই ভিডিও( ভাইরাল ভিডিও GNEbangla যাচাই করে দেখেনি):
https://x.com/aaraynsh/status/1812018430226145677
