PM Yojana: দেশজুড়েই কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট। বেকারত্বের সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর সেই দিকে নজর দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প(PM Yojana) নিয়ে আসা হয়েছে। যার মাধ্যমে বেকার যুবকরা নিজের পায়ে স্বনির্ভর হতে পারেন। এই প্রকল্পটি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রকল্পের(PM Yojana) অধীনে দেশের যুবসমাজকে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যেই রূপায়িত করা হয়েছে।
প্রকল্পটির নাম– প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PM Mudra Yojana) যখন চাকরির এত অপ্রতুলতা, কর্মসংস্থানের অভাব দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে, তখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বহু যুবক-যুবতীরাই ছোটখাটো ব্যবসা করতে আগ্রহী। কিন্তু ব্যবসা করার কথা বললেই তো হবে না, তার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় মূলধন। এবার দেশের অধিকাংশ যুবক যুবতীর পক্ষেই ব্যবসা শুরু করার মত পুঁজি হয়তো সেরকম থাকে না। এবার তারা ব্যাংক বা অন্যান্য যেকোনো আর্থিক সংস্থার থেকে যদি লোন নিতে চান, তাহলে তাদের গ্যারান্টার বা বন্ধক হিসাবে সম্পত্তি বা কিছু জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করতে হয়।
ফলে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয় না। তাই ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মুদ্রা যোজনা প্রকল্পটি সূচনা করেছেন। যার মাধ্যমেই যুবক যুবতীরা সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারতেন। এবার সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (PM Mudra Yojana) ঋণ দ্বিগুণ করার কথা জানিয়েছেন অর্থাৎ এবার থেকে এই প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন যুবক-যুবতীরা। এবার দেখা যাক, প্রকল্পের সুবিধা কি কি?
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় আবেদন করলে যেভাবে এই লোন ভাগ করা হয়েছে, তা হলো তিনটি স্তর- শিশু ঋণ, কিশোর ঋণ এবং তরুণ ঋণ। এবার শিশু লোনে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন। ঠিক তেমনি কিশোর লোনে আবেদন করলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাবেন। আর তরুণ লোনের জন্য যদি আবেদন করেন তাহলে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন যুবক-যুবতীরা।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার যে কোনো ক্যাটাগরিতে লোন নিতে চাইলে তার জন্য কোনো প্রসেসিং ফি লাগবেনা। লোনটি ৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে। তবে কোনো কারনে কেউ যদি ৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে না পারেন, তাহলে আরো ৫ বছর সময় পাবেন। এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পুরো টাকার জন্য গ্রাহককে সুদ দিতে হবে না। মুদ্রা কার্ড এর মাধ্যমে তিনি যে পরিমাণ টাকা তুলবেন এবং খরচ করবেন, তার ওপরেই সুদ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতীয়রাই আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার উপরে। এই ঋণ ৬০ মাসের মধ্যে শোধ করতে হয়। আবেদনকারী নতুন কি ব্যবসা করবেন বা ব্যবসার সম্প্রসারণ করবেন, সেই বিষয়টি সম্পর্কে আবেদন করতে হবে। তবে কৃষি এবং কর্পোরেট ব্যবসার ক্ষেত্রে মুদ্রা লোনের আবেদন সম্ভব নয়। আবেদনকারীর ঋণখেলাপির কোনো রেকর্ড থাকলে চলবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় কোনো কিছু বন্ধক না রেখেই যুবক যুবতীরা লোন নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে রাশি রাশি বই, অভিনব উদ্যোগ উত্তরবঙ্গের গ্রামে
কিভাবে আবেদন করবেন?
PM Mudra Yojana-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ফর্ম ডাউনলোড করবেন। তারপর সঠিকভাবে তা পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন আধার কার্ড, বাড়ির ঠিকানা এবং ব্যবসার অফিস বা দোকানের ঠিকানার প্রমাণপত্র, প্যান কার্ড, আয়কর রিটার্নের নথি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস সহ স্থানীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে।