বিক্রম ব্যানার্জী: ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন। আর তার আগেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান। শুরু থেকেই অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে তোপ দেগেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের এক নির্বাচনী সমাবেশ থেকে বাংলাদেশীদের রাজ্য(ঝাড়খন্ড) ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা(JP Nadda)।
ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার বিশ্রামপুরের নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ঝাড়খন্ড জন মুক্তি মোর্চাকে নিশানায় এনে নাড্ডা বলেন, ‘বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সমস্ত বাংলাদেশীকে ঝাড়খন্ড থেকে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্যে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করবে দল। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মহিলারা বিয়ে করলেও তাদের সন্তানদের কোনও রকম স্থানীয় বসবাসকারীর অধিকার দেওয়া হবে না। মিলবে না কোনও জমির মালিকানাও।’
এদিন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের নিয়ে কথা বলতে বলতেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির মন্ত্রী সভার সদস্য নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি জানান, ‘ঝাড়খণ্ডের সরকার নানান দুর্নীতির সাথে যুক্ত। তারাই স্বইচ্ছায় বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। এ কথা বলতে কোনও দ্বিধা নেই ঝড়খণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দারের অধিকার সুনিশ্চিত করতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচনী সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নাড্ডা। আদিবাসীদের কল্যাণ বাজেটের হিসেব উল্লেখ করে জানান, আদিবাসী কল্যাণ বাজেট তিনগুণ হয়েছে। একলব্য মডেল স্কুল গুলির তহবিলে অর্থ লগ্নি বেড়েছে। সেই সাথে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করে প্রায় দেড় কোটি শৌচালয় তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। বলা বাহুল্য, আগামী 13 ও 20 নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। মূলত দুটি ধাপে 81 সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে নভেম্বরের 23 তারিখ।
আরও পড়ুন: করিনাকে বিয়ে করাই কাল হল! সাইফ আলি খানকে খুনের হুমকি