বিক্রম ব্যানার্জী: বিয়ের পরও অন্য এক তরুণীর সাথে লিভ ইনে থাকতেন যুবক। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে যুবককে বিয়ের প্রস্তাব দেন তরুণী। প্রেমিকার আবদারে তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ওই বিবাহিত ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তরুণীকে হত্যার পর তার মৃতদেহ 40 থেকে 50 টুকরো করারও অভিযোগ রয়েছে পেশায় কসাই নরেশ ভেংরার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল, ঝাড়খণ্ডের(Jharkhand) খুন্তি জেলা।
গত 8 নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের খুন্তিতে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুন্তি জেলার জরিয়াগড় এলাকার বাসিন্দা নরেশ কর্মসূত্রে তামিলনাড়ুতে থাকতেন। সেখানেই নাকি একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতেন তিনি। যাতায়াতের পথে ভিন রাজ্যে এক তরুণীর সাথে আলাপ হয় তার। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। এরপর থেকে দুজনেই লিভ ইনে থাকতে শুরু করেন। গত দু’বছর ধরে একই ছাদের তলায় থাকছিলেন তারা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে ফিরে বাবা-মায়ের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন ওই যুবক। বিয়ের পর কিছুদিন নববধূর সাথে কাটিয়ে ফের কর্মসূত্রে তামিলনাড়ুতে ফিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে লিভ ইন সঙ্গীর সাথে সহবাস করতে শুরু করেন নরেশ। পুলিশের দাবি, তামিলনাড়ুতে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন প্রেমিকা। এমনকি প্রেমিকের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্যও উঠে পড়ে লাগেন ওই তরুণী।
প্রেমিকার আবদার রাখতে তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর তরুণীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন ওই যুবক। প্রেমিকাকে খুন করার পর তার মরদেহ প্রায় 50 টুকরো করে ছড়িয়ে দেন তিনি। এই ঘটনার প্রায় 15 দিন পর ওই তরুণীর দেহের কাটা অংশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। জঙ্গলে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি ব্যাগ সমেত তরুণীর পচা গলা দেহের টুকরো উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত নরেশ ভেংরাকে।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কুমার দাসের পাশে নেই ইসকন, নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতেই ভোল বদল?