বিক্রম ব্যানার্জী: উত্তরপ্রদেশের জামে মসজিদ বিতর্কের মাঝেই ফের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নেপথ্যে যদিও নতুন কারণ। সম্প্রতি রাজস্থানের আজমির জেলার বিখ্যাত আজমির শরিফের(Ajmer Sharif) নিচে শিব মন্দির রয়েছে বলেই দাবি করেছে হিন্দুবাদী সংগঠন হিন্দু সেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সংগঠনটির তরফে।
জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ও তাজমহলের নিচে হিন্দু মন্দিরের দাবি তোলার পর গত সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের আজমির শরিফের তলদেশে শিব মন্দির রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে আদালতে পিটিশন জমা দিয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন হিন্দু সেনা। সংগঠনটির তরফে তোলা দাবির ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, আদালতে হিন্দু সংগঠনটির আর্জি গ্রহণের পরই এই বিষয়ে প্রত্যেকের মতামত জানতে চেয়ে বুধবার সব পক্ষকে নোটিশ দিয়েছেন আজমির পশ্চিম দায়রা বিচারক সিনিয়র ডিভিশন মনমোহন চান্দেল। দরগা কমিটি থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর ও ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছু প্রতিবেদন মারফত খবর, হিন্দু সেনার চাঞ্চল্যকর দাবি খতিয়ে দেখতে পরবর্তী শুনানির দিন 5 ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আদালতে দায়ের হওয়া পিটিশনটিতে 1911 সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্বিলাস সার্দারের লেখা একটি বইয়ের উল্লেখ রয়েছে। ওই বইটিতে দাবি করা হয়েছে, শিব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়েই দরগাটি তৈরি, এটি সবচেয়ে পবিত্রতম জায়গা যেখানে এখনও জৈন মন্দির আছে। যদিও মাজার ও দরগা কমিটি এই দাবি অস্বীকার করেছে।
দরগা কমিটির তরফে জানানো হয়, ‘এই ধরনের দাবির ভিত্তিতে পিটিশন ও আদালতের সিদ্ধান্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরুদ্ধ। আদালত তিন পক্ষকেই নোটিশ পাঠিয়েছে। কাশি ও মথুরার প্রাচীন মসজিদ গুলিকে লক্ষ্য বানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। আমরা কী করতে পারি দেখব।’