পারিবারিক বিবাদ থেকে তর্কাতর্কি, সেখান থেকে সংঘর্ষ এবং শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বছর সাতাশের এক যুবককে। তারপর? ছেলেকে লক আপ থেকে ছাড়িয়ে আনতে ৩ দিন ধরে কোর্টের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন বাবা – মা।
শেষপর্যন্ত মুক্তি পেলেন ছেলে। লক আপ থেকে ছেলেকে আনতেও গিয়েছিলেন বাবা – মা। গিয়ে দেখেন ছেলে বসে আছে হুইল চেয়ারে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় লক – আপে থাকার ধকল নিতে না পেরে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে ছেলে। না বাবা – মায়ের মনে কোন সন্দেহ হয়নি। তারা তখন ছেলে ফিরে আসবে, সেই আনন্দে আত্মহারা। অথচ ভুল ভাঙল কিছুক্ষণ পরেই। লক আপ থেকে বাইরে আনার পরেও বহু ডাকাডাকিতে যখন ছেলে চোখ মেললেন না তখন বাবা – মা বুঝলেন, ছেলে আর নেই। সে মুক্তি পেয়েছে – শুধু লক আপ থেকে নয় এই পৃথিবী থেকেই, চিরতরে।
আরও পড়ুনঃ অফিসের বন্ধু বা নতুন ভাড়াটে আসলে কোন এলিয়েন নয়তো?
ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গেছে, পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বছর সাতাশের যুবক শৈলজ বরগোঁহাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশ লক আপেই মৃত্যু হয় তার। যদিও প্রথমে পুলিশ যুবকের পরিবারকে এই ঘটনা টের পেতে দেয়নি। সেই কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় সামান্য শরীর খারাপ হয়েছে শৈলজর। পরে আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মৃতের পরিবার পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিবার। মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেন তারা। পরে ডিব্রুগড় পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ রাজু বাহাদুর ছেত্রীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, পুলিশ স্টেশনে শৈলজর উপরে পাশবিক অত্যাচার করায় মৃত্যু হয়েছে তার।